টসে জিতে ব্য়াট করতে নেমে লাঞ্চেই হাফ ডজন উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। ইডেনের পিচে দাপট দেখাচ্ছে ভারতের পেসাররা। উমেশ যাদব তিন উইকেট ও ইশান্ত শর্মা তুলে নিলেন জোড়া উইকেট। অপর উইকেটটি মহম্মদ শামির।
শুক্রবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুতেই আতঙ্ক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় পেসাররা। অনিয়ন্ত্রিত পেস আর সুইংয়ে যে ভরাডুবি হবে, তা অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। তবে এভাবে অসহায়ভাবে যে বাংলাদেশ নুইয়ে পড়বে তা ভাবা যায়নি।
শুরুতে ইমরুল কায়েশের উইকেট দিয়ে শুরু। মাত্র ৪ রান করে ইশান্ত শর্মার বলে লেগ বিফোর হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন কায়েশ। তার আগে ওই ওভারেই আউট হয়ে যেতে পারতেন তিনি। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি। মুমিনুল হক ও সাদমানের জুটিও বেশিক্ষণ টেকেনি। ৭ বলে খেললেও অধিনায়ক মুমিনুল কোনও রান করেই সাজঘরে ফেরেন। ইশান্তের সঙ্গে কৃতিত্ব প্রাপ্য রোহিতেরও। স্লিপে বাজপাখির মতো ক্ষিপ্রতায় দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রোহিত শর্মা।
এরপরে মহাম্মদ মিঠুনের স্থায়িত্ব মাত্র ২ বল। তাঁকেও ফেরান উমেশ। তারকা পেসারের দুর্দান্ত ডেলিভারির কোও জবাবই ছিল না মিঠুনের কাছে। বোল্ড আউট হন মিঠুন (০)। ঠিক তার পরের ওভারেই মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে টিকেছেন মাত্র ৪ বল। নঈম হাসানের সঙ্গে বাংলাদেশকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন লিটন দাস। তবে মহম্মদ শামির বলে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন লিটন। নঈমের সঙ্গে আপাতত খেলবেন আবু জায়েদ। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দু-অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন মাত্র দু-জন- লিটন দাস (২৪) ও ওপেনার সাদমান ইসলাম (২৯)। এতেই প্রকট বাংলাদেশিদের ব্যাটিং ব্যর্থতা।
লিটন প্যাভিলিয়নে আহত হয়ে ফিরতেই মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মধ্যাহ্নভোজে খেলা হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ২১.৪ ওভারেই হারিয়ে ফেলেছে ৬ উইকেটে। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৭৩। শামি, উমেশ, ইশান্তদের সামলাতে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বল হাতে আগুন ঝড়াচ্ছেন তিন ভারতীয় পেসার।
বাংলাদেশ দলে এদিন জোড়া পরিবর্তন এনেছে। আল-আমিন আর নঈম এলেন। বাদ পড়েছেন তাইজুল আর মেহদি হাসান। তবে ভারতীয় দলে কোনও পরিবর্তন নেই। ইন্দোর টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে আছে টিম ইন্ডিয়া। এই টেস্ট জিতলেই ভারত হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশকে।
Be the first to comment