রোজদিন ডেস্ক :- ভোট পর্ব মেটার পর ফের শুরু হয়েছে কালীঘাট মিলন সংঘে জনতার দরবার।
এখানে বিচারসভার মতো মানুষের সমস্ত রকম ভাবে হেল্প আগেও করা হতো আবারও তাই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসছেন তাঁদের সমস্যা, অভাব, অভিযোগ কিংবা মতামত জানাতে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ব্যক্তিরা।
আর দলীয় কোনও বিষয় থাকলে সেই সংক্রান্ত চিঠিপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল ভবনে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকেও বলে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূল ভবনে যোগাযোগ করতে। রবিবার এই দরবারে আটশোর বেশি মানুষ তাঁদের কথা জানাতে আসেন। তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছেন, বাংলার প্রতিটি মানুষ জানেন মমতাই তাঁদের ভরসা। তাই এই দরবারে আসছেন তাঁরা।
সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির অনবদ্য বৈশিষ্ট্য যা সকলেই জানেন। কলকাতা হোক বা জেলা, মমতা যেখানেই যান পথ চলতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে তিনি কথা বলেন, তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। এই ছবি দেখা গিয়েছে বহু বার। সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছে মমতা তাঁদেরই ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন। জেলা সফরে মমতাকে সবসময় দেখা যায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে। তাছাড়া রাজ্য প্রশাসনের সদর দপ্তর নবান্নে যেমন অভিযোগ জানানোর জন্য একটি সেল রয়েছে, তেমনি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামে হেল্পলাইনও চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বছরভর জনসংযোগ এবং মানুষের পাশে থাকার কথা জনপ্রতিনিধিদের বার বার মনে করিয়ে দেন মমতা!
এই সূত্রে মমতারই নির্দেশে চালু হয় জনতার দরবার। প্রতি রবিবার তাঁর বাড়ির কাছে কালীঘাট মিলন সংঘে এই দরবার বসছে, চলছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। কয়েকশো মানুষ হাজির হচ্ছেন সেখানে। কোনও সরকারি প্রকল্পের ভাতা সংক্রান্ত বিষয় কিংবা জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে আসছেন মানুষ। তাঁদের প্রয়োজনমতো সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের কোনও বিষয় থাকলে জমা নেওয়া হচ্ছে সেই সংক্রান্ত নথি। সমস্যা ও অভিযোগের কাগজপত্র খতিয়ে দেখে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে জানানোও হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি প্রতি রবিবার এই দরবারে হাজির থাকছেন। দ্রুত সমাধানের উদ্দেশ্যে অভিযোগকারীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধায়ক কিংবা পুর চেয়ারম্যানের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই ভাবেই বিভিন্ন ভাবে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হয়।
Be the first to comment