মমতার ‘মাইক বন্ধ করে অপমান’ করা হলো নীতি আয়োগের বৈঠকে

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি :- আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দিল্লিতে আয়োজিত হয় নীতি আয়োগের বৈঠক। আর সেই বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগেই বেরিয়ে আসেন মমতা। তিনি বাইরে এসে সাংবাদিকদের বলেন, “আমায় পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয় নি। মাইক বন্ধ করে দিয়ে আমায় অপমান করা হয়েছে।”
আজ সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠক বর্জন করলেও, এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে রাইসিনা ভবনের বাইরে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘‘অন্য কয়েক জনকে ২০ মিনিটের বেশি বলার সুযোগ দেওয়া হলেও আমাকে পাঁচ মিনিটও বলতে দেওয়া হয়নি। তার আগেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই বঞ্চনার প্রতিবাদে আমি বৈঠক ছেড়ে চলে এসেছি।’’ তিনি আরও জানান, আজকের বৈঠকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুকে প্রায় ২০ মিনিট বকার সুযোগ দেওয়া হয়, এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইও যথেষ্ট বলায় সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু আমি বলতে শুরু করলেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে আমি অপমানিত হই। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র আমিই বৈঠকে হাজির ছিলাম। কিন্তু বলতে দেওয়া হল না। আমি আরও কিছু বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই মাইক বন্ধ করে অপমান করা হল।’’
নীতি আয়োগের বৈঠকে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন জানিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমি বলেছি আপনাদের কোনও রাজ্য সরকারের প্রতি বৈষম্য করা উচিত নয়।” মমতা এদিন এও বলেন, এর পরে নীতি আয়োগের আর কোনও বৈঠকে তিনি থাকবেন না।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস শাসিত তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী— কর্নাটকের সিদ্দারামাইয়া, তেলঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডি, হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিংহ সুখু আগেই কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনায় প্রতিবাদে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের ঘোষণা করেছিলেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন, আম আদমি পার্টির নেতা তথা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা পিনারাই বিজয়নও বৈঠক বয়কট করেন একই অভিযোগে। মমতা জানিয়েছিলেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বৈঠকে থাকতে পারেন। কিন্তু তিনিও শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গরহাজির ছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বৈঠকে ছিলেন না বিজেপির সহযোগী জেডিইউর প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও!

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*