গোটা দেশ লকডাউন। তবুও ঠেকানো যাচ্ছে না সংক্রমণ। হু-হু করে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাত ছুঁয়েছে অন্তত ২৭। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী।
এর মধ্যো নতুন করে দেশে প্রায় ২০০০ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যারা প্রত্যকেই দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকার বাসিন্দা।
সরকারি সূত্রে খবর, রাজধানীর নতুন করোনা আক্রান্তেরা কয়েকদিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশের এক করোনা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। ফলে সতর্কতা বজায় রাখতে এই ২০০ ০জনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আক্রান্তের মধ্যে ৬ জন দিল্লির বাসিন্দা নয়। বাকি সবাই রাজধানীর স্থানীয় বাসিন্দা। যারা প্রত্যকেই গত সপ্তাহে একটি দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকার একটি মসজিদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। এছাড়া সেখানে আন্দামান এবং তেলেঙ্গানারও বেশ কয়েক জন উপস্থিত ছিলো। ফলে তাঁদেরও খোঁজ শুরু করেছে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
যদিও গোটা দেশ লকডাউন। সংক্রমণ এড়াতে একজায়গাশ ৫ জনের বেশী জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এই অবস্থায় একসঙে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ লোক ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ঘটনাশ বেজায় ক্ষুদ্ধ প্রশাসন। যাদের মধ্যো ১৪৩ জন রাজধানী দিল্লির নিজামউদ্দিনেরই বাসিন্দা। যাদের করোনা সন্দেহে দিল্লির লোকনায়ক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে যখন মরিয়া সরকার তখন এমন ঘটনায় ওই মসজিদের মওলানার বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। যদিও এই মুহুর্তে জীবাণুমুক্ত করার জন্য মসজিদটিকে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে নতুন করে ১০৬ জনের দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে। ফলে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১০০০এর উপরে। এছাড়াও দিল্লিতে রবিবার পর্যন্ত সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২৩ জনের। এছাড়াও মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ জন।
এদিকে, দেশজুড়ে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবারই সারা দেশের সমস্ত রাজ্যের সব জেলার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যে সব রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেইসব রাজ্যগুলির এলাকা ধরে ধরে ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
Be the first to comment