যত দিন বাঁচবো রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মত বাঁচবোঃ মমতা

Spread the love

“যত দিন বাঁচবো রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মত বাঁচবো।” এ ভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে তিনি কত শক্তিশালী সেটা বোঝাতে বহরমপুরের জনসভা থেকে দলের কর্মী-সমর্থকদের মনে জোর দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, “আমায় দেখুন। আমার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। অপারেশন হয়েছে। আমি বন্দুকের মুখে লড়াই করা মানুষ। ধান কেনার প্রক্রিয়া শুনছি কেউ কেউ আটকে দিচ্ছে। যদি কেউ বাধা দেয় আমার চেয়ে কঠোর কেউ হবে না। যতক্ষণ বাঁচবো মাথা উঁচু করে বাঁচবো। যতদিন বাঁচবো রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো বাঁচবো।”

রাজ্যে তৃণমূলের ভাঙ্গন ভোটের মুখে যে ভাবে শুরু হয়েছে তাতে তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যে কিছুটা সংশয় এখন আছে। তবে মুর্শিবাদাবাদ জেলায় গত লোকসভা নির্বাচনে তিনটি আসনের মধ্যে দুটিতে তৃণমূল জিতেছে। তাছাড়া সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় বিজেপি এখনও তেমন জায়গা করে নিতে পারে নি। তাও এই জেলাতেও তিনি যে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চান না সেটা বোঝাতেই এদিন বহরমপুরের সভা থেকে নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, “আমাকে চমকে, ধমকে কাজ হবে না। চমকালে আমি উতরে যাই। আমি গুন্ডা, দাঙ্গাবাজদের সঙ্গে লড়তে জানি। মনে রাখবেন কেউ ভয় দেখলে ভয় পাবেন না। আপনাদের একটি করে ভোট রাজ্যে তৃণমূল সরকার গড়ার কাজে সহায়তা করবে। একটা ভোট অন্য জায়গায় দিলেই সেটাতে বিজেপির লাভ হবে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও নিজেকে সাহসী প্রমানের জন্য নানান বিশেষণে নিজেকে ভূষিত করেছেন। এবার নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার বললেন। তবে তিনি যে রাজ্যের অন্য রাজনৈতিক নেতাদের তুলনায় অনেকটাই সাহসী সেটা তিনি বার বার তাঁর কাজে কর্মে বুঝিয়েছেন। বহরমপুরের সভা থেকেও মঙ্গলবার আবারো তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে স্বভাবসিদ্ধ ভাষায় সমালোচনা করে বললেন, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন এই রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন। কেউ বলতে পারবেন কোন সরকারি কর্মীকে রাজ্য সরকার মেইন দেয়নি? মোদিবাবু বলুন আপনি কেন বিএসএনএল, এল আই সি, জি এ আই এল, বিক্রি করছেন? কেনও মানুষ ব্যাঙ্কে টাকা রেখে শান্তি পাচ্ছেন না? কোনও প্রধানমন্ত্রী এর আগে এতো মিথ্যা বলেননি।”

নাগরিকত্বের প্রশ্নে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বাংলায় এন পি আর করতে দেব না। রাজ্য বিধানসভায় আইন করেছি।”

করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে বাংলায় ফেরানোর ব্যবস্থা করল না এদিকে চোরেদের ভাড়া করা বিমানে করে দিল্লি নিয়ে যায়। লজ্জা করে না।” মুর্শিদাবাদের ৯৬% কৃষকদের রাজ্যের তরফে অনুদানের তাঁর সরকার দেয় বলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন। বলেন, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী , খাদ্যসাথী শোঃ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সবেতেই মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্যের মানুষের পাশে আছে। তাই জোদ্দার, জমিদার, বড়লোকদের দল বিজেপিকে জায়গা দেবেন না। একবার নোটবন্দি, একবার করোনায় মানুষকে ঘরবন্দি করেছে কেন্দ্রের সরকার। আর এখন এসেছে ভোটের আগে টাকা দিতে। টাকা দিলে নিয়ে নিন, বিজেপিকে বিদায় দিন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*