চিরন্তন ব্যানার্জি :-
যেসব পুজো কমিটি সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে, তাদের বাদ দিয়ে নতুন পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরজি কর-কাণ্ডের আবহে প্রতিবাদ স্বরূপ দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করছে বেশকিছু পুজো কমিটি। সেই ব্যাপারে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”অনেক ক্লাব অনুদান নেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। যারা টাকা নিতে চান না, ভালো, নেবেন না। আমরা সেই টাকা অন্যদের দেব।” পুজোয় অনুদান দিতে রাজ্য সরকারের মোট ৪৫০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন পুলিশ কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, সামনেই পুজো। কোনওরকম পরিস্থিতি কড়া হাতে মোকাবিলার নির্দেশ দেন তিনি।
পাশাপাশি পুজোয় ৭৫ শতাংশ বিদ্যুতের ফি মুকুবের কথা মনে করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, যেসব পুজো কমিটিগুলি সরকারের সামাজিক প্রকল্পের দিকগুলি বেশি করে তুলে ধরবে তাদের জন্যেও পরে ‘বিশেষ ছাড়’ দেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার উঠে আসে, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপুজো আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই উৎসবে যেন কোনওরকম অশান্তি, গণ্ডগোল, কুৎসা, অপপ্রচার কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’ সেকারণে মুখ্যসচিবকে অবিলম্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা আরও মনে করিয়ে দেন, ‘পুজোর অনুদান নিয়ে বেশ কিছু ক্লাবের অনুরোধ আমাদের কাছে এসেছে। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই সেই অনুদান দেওয়ার কাজ শুরু হবে।
এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে সমস্ত পুজো উদ্যোক্তারা অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে, তাদের বদলে সরকারের কাছে একাধিক নয়া পুজো কমিটির আবেদন জমা পড়েছে। সবাইকে সাহায্য করা সম্ভব না হলেও মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যারা টাকা নিতে না চান, ঠিক আছে। নতুন যারা আবেদন করেছেন তাঁদের অনুদান দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে এদিন আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে মমতা বললেন, “ প্রতিদিন রাতে আপনারা যদি রাস্তায় থাকেন, অনেক মানুষের তো সমস্যা হয়। অনেক এলাকায় অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন। আলো লাগালে, তাঁদের ঘুমের সমস্যা হয়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়মও রয়েছে রাত ১০টার পর মাইক বাজানো নিয়ে। তা সত্ত্বেও তো আমরা সব ছেড়ে দিয়েছি। এক মাস তো হয়ে গেল। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন। সিবিআইকে অনুরোধ করব, তাড়াতাড়ি বিচারের ব্যবস্থা করুন।”
Be the first to comment