রবিবারের মধ্যে পুলিশ তদন্তের কিনারা না হলে সিবিআইকে তদন্তভার নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি:-

আরজিকর হাসপাতালে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। কলকাতা থেকে জেলা একাধিক হাসপাতালে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। এরই মাঝে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবিবারের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে।

আরজিকর হাসপাতালে ছাত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। কলকাতা থেকে জেলা একাধিক হাসপাতালে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। এরই মাঝে সোমবার আরজি করের নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রবিবারের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনার পরের দিনই নির্যাতিতার বাবাকে ফোন করে তিনি বলেছিলেন, অপরাধীর ফাঁসির শাস্তি চান তিনি। সোমবারও সেই দাবি জানান তিনি। আগে জানিয়েছিলেন, তাঁর মনে হচ্ছে, তিনি নিজেরই পরিবারের কাউকে হারিয়েছেন। পরে ফোনে কথা বলেছিলেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গেও। সোমবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে যান ওই নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে। দুপুর পৌনে একটা নাগাদ ওই মহিলা চিকিৎসকের বাড়িতে পৌঁছন মমতা। বেরিয়ে বলেন, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। রবিবারের মধ্যে তদন্ত শেষ না হলে সিবিআইকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হবে।’’ এর পরেই জুড়ে দেন, ‘‘যদিও সিবিআইয়ের সাফল্যের হার খুব কম। রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার চুরি যাওয়ার মামলাও সিবিআইকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার কিনারা হয়নি। তবে এ ক্ষেত্রে মানুষের সন্তুষ্টির জন্য সিবিআইকে তদন্তভার দেব।’’
আরজি করে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাটি শোনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এই ঘটনায় ফাস্টট্র্যাক আদালতে ফাঁসির আবেদন জানানো উচিত। সোমবারও সে কথা জানান মমতা। মমতা এর আগে জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের তদন্ত সংস্থায় ভরসা না থাকলে অন্য কোনও এজেন্সির তদন্তেও তাঁর আপত্তি নেই। কারণ, সরকার চায় ওই ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হোক। সোমবার পুলিশকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন মমতা।
উল্লেখ্য, চিকিৎসকের মৃত্যুকে ‘ন্যক্কারজনক এবং অমানবিক’ বলে মন্তব্য করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন মমতা। বলেছিলেন, ‘‘জুনিয়র চিকিৎসকেরা যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা সঙ্গত বলেই আমি মনে করি। আমি ওঁদের দাবির সঙ্গে একমত। আমি প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, দোষীদের চিহ্নিত করে তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফাস্টট্র্যাক আদালতে এই মামলা তুলতে এবং প্রয়োজনে ফাঁসির আবেদন জানাতে। কিন্তু এই অপরাধের কোনও ক্ষমা নেই।’’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*