রাজভবনে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, দাবি বাংলার মানুষের জন্য বাড়ি তৈরির উদ্যোগ

Spread the love

অমৃতা ঘোষ:- তৃণমূল প্রতিনিধি দল দিল্লিতে আটক এর পর সোমবার রাতেই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিল তৃণমূলের দ্বিতীয় আর একটি প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্বে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর সেই সাক্ষাতের পরই অভিষেক বলেছিলেন আবার রাজভবন আসবেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার ফের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।

বুধবার অভিষেক রাজভবন থেকে বেরোনোর পর জানান রাজ্যপাল তাঁদের দাবি মানতে রাজি হয়েছেন। তিনি সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথাও বলতে চান। কিন্তু মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তার ফোন ধরেননি!

বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ এবং নিজেদের দাবি নিয়ে আগামী দিনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। এমনটাই জানান অভিষেক।

যে ৯ জন সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার রাজভবন গেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ব্রাত্য বসু এবং কুণাল ঘোষ। রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসে অভিষেক জানান, উত্তরবঙ্গে ঝড়ের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বানাতে চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটার দাবি মানা হয়নি। বরং বলা হয় আংশিক ক্ষতি হলে ৫ হাজার টাকা, বেশি ক্ষতি হলে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ স্বরূপ দেওয়া যেতে পারে।
অভিষেক বলেন ”আমরা টাকা দেব বলছি, তাও বাড়ি বানানোর অনুমতি দিচ্ছেন না। এদের বাংলা বিরোধী বলা হবে না তো কাকে বলা হবে?”

অভিষেক আরো বলেন , অসমে বিহু পালনের জন্য সেখানকার ২ হাজার কমিটিকে দেড় লাখ টাকা করে দেওয়া যেতে পারে বলে অনুমোদন দিয়েছ নির্বাচন কমিশন। আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীনই এই অনুমোদন দিয়েছেন। কিন্তু এদিকে বাংলায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য বাড়ি বানানোর অনুমতি দিচ্ছেন না! অভিষেক আরো বলেন ”এমনিও বাড়ির টাকা দেওয়া হচ্ছে না, আবার রাজ্য যখন বাড়ির টাকা দেবে, তখনও অনুমতি দিছে না। এটাই বিজেপি নতুন ফন্দি।

মঙ্গলবারই একযোগে বিজেপি-কমিশনকে আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক । তিনি বলেন, ”গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসবে গণতন্ত্র কে হত্যা করা হচ্ছে। আবাস সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা সরকার দিচ্ছেন না বলে আগেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*