রোজদিন ডেস্ক :- বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একের পর এক অনৈতিক, অসাংবিধানিক কার্যকলাপ ঘটে চলেছে গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে। তার প্রতিবাদেই ৮ জুলাই, ২০২৪, সোমবার বেলা ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের আরও একটি প্রতিবাদ সভা সংগঠিত হল ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে। প্রতিবারের মতোই এবারও এই সভায় সভাপতিত্বের ভূমিকায় ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। এছাড়াও এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত, গায়ক সৈকত মিত্র ও নাজমুল হক, কবি প্রসূন ভৌমিক, অভিনেতা ভিভান ঘোষ, অভিনেতা রাহুল চক্রবর্তী, অভিনেতা হৃতজিৎ চ্যাটার্জী, অমিত কালি, বর্ণালী মুখার্জি, সিদ্ধব্রত দাস, প্রবীণ বামপন্থী নেতা বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, সমীর পুততূণ্ড, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে। এই সভার পক্ষ থেকে কিছু দাবি রাখা হয়, দাবিগুলি হলো –
এন আর সি, সি এ এ, পি এম এল এ-র মতো জনবিরোধী কালাকানুন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এছাড়া অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা চলবে না। প্রত্যেকটি সম্প্রদায় এবং গোষ্ঠীকে নিজস্ব সামাজিক এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে হবে। ইডি, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্সের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। তদন্তের অজুহাতে বিভিন্ন বিরোধী দলের যে নেতাদের ইডি-সিবিআই হেফাজতে নিয়ে দীর্ঘদিন আটক করে রাখা হয়েছে, তাঁদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
এছাড়া রাজ্য সরকারের কাজে রাজ্যের অনুমতি ছাড়া অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। বিচারব্যবস্থাকে নিরপেক্ষ এবং পক্ষপাতহীন করতে হবে। দেশ বাঁচাও আরো দাবি জানান যে, পি এম কেয়ারস ফান্ডের টাকার হিসাব দিতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে কত অর্থ কেন এবং কী কারণে সরকার তুলে নিয়েছে তার হিসাব এবং ব্যাখ্যা চাই। সাথে নির্বাচনী বন্ড কেনার পরিবর্তে কোনও সংস্থাকে কোন কোন সরকারি বরাত দেওয়া হয়েছে তার তদন্ত চাই।
এছাড়া রাজ্যে নিট পরীক্ষার দুর্নীতি নিয়ে অবিলম্বে এখনই তদন্ত শুরু করা হোক। রাজ্যপালের অনৈতিকতা নিয়ে দেশ বাঁচাও প্রশ্ন তোলেন। তাদের দাবি , রাজ্যপালদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক দলকে মদত দেওয়া বন্ধ করা হোক। যদি কোনো রাজ্যপাল এরকম কোনো আচরণ করে থাকেন তাহলে অবিলম্বে তাঁকে রাজ্যপালের পদ থেকে অপসারণ করা হোক। এমনকি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতি বা অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে, তাহলে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে যথাযথ তদন্ত করতে হবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, দলিত এবং জনজাতির উপর অত্যাচার ও বন্ধ করতে হবে। এবং রাজ্যে বড় শিল্পগোষ্টীকে পরিবেশ ধ্বংস করে শিল্পস্থাপনের অনুমতি দেওয়া চলবে না এবং রেলের বেসরকারীকরণ ও রেল হকারদের প্রতি অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
Be the first to comment