রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ব্যবহারিক প্রয়োগ করা হয়েছে আজই। আরো বেশ কয়েকটি দেশ ও সংস্থার ভ্যাকসিন দিন কয়েকের মধ্যে বাজারে আসার সম্ভাবনা। এমত অবস্থায় ভ্যাকসিনের ব্যবহার সম্পর্কে কেন্দ্রকে স্পষ্ট নীতি নির্দেশিকা তৈরি করার আবেদন জানাল রাজ্য সরকার।কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, কোন ভ্যাকসিন কেনা ও ব্যবহার করা হবে তা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারণ করা উচিৎ। এসম্পর্কে কেন্দ্র স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রকাশ করুক। উল্লেখ্য রাষ্ট্রীয় টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় কেন্দ্রীয় সরকার ইতমধ্যেই সব নাগরিককে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও দাবি দাওয়ার কথাও বৈঠকে তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন,
আর্থিক সংকটের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে করনা সংক্রমিত হয়ে এখনও পর্যন্ত যে সব রোগী মারা গিয়েছেন তার ৮৯ শতাংশ ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ,হৃদরোগে র মত কোমর্বিডিতি তে ভুগছিলেন। রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় এনে পরিবার পিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এছাড়াও রোগ নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে করনা জয়ী ছাড়াও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত এক কোটি সদস্যকে কাজে লাগানো হয়েছে। কেন্দ্র সরকার এফআরবিএম এর সীমা তিন শতাংশ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করলেও রাজ্যে তার মাত্র দশমিক পাঁচ শতাংশ নিঃশর্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। বাকি দেড় শতাংশ অর্থও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিঃশর্তে দেওয়ার দাবি জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও পণ্য পরিষেবা কর বাবদ এখনও বকেয়া চার হাজার ১৩৫ কোটি টাকা এবং সবমিলিয়ে বকেয়া ৫৩ হাজার কোটি টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। করনা চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরও ভেন্টিলেটর দেওয়ার ও আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment