রাহুল থেকে অভিষেক কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে সরব ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকরা..

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি (২৩ জুলাই ) :- তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেটের শিরোনাম কী? এক কথায় এনডিএ-র দুই মূল শরিক দলকে সন্তুষ্ট করা। বাজেটে নির্মলা সীতারমণ কার্যত দুহাতে সাজিয়ে দিয়েছেন বিহারকে। দরাজহস্তে দান করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশকেও। অথচ বাংলার ঝুলি কার্যত শূন্য। প্রতিটি ছত্রে বাংলার প্রতি বঞ্চনার ছবি স্পষ্ট। শুধু বাংলা নয়, অন্য বিরোধী শাসিত রাজ্যের ঝুলিও কার্যত শূন্য। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার বঞ্চনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “বিহার বা অন্ধ্রের জন্য বরাদ্দে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।  কিন্তু যে বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই গোটা দেশকে পথ দেখায়, সেই বাংলাকে এভাবে বঞ্চিত করা হল। বাংলার মানুষ আবার জবাব দেবে।” এদিন সংসদের বাইরে বেরিয়ে এসে শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “এটা তো ‘কুর্সি বাঁচাও’ বাজেট। বাজেট বক্তৃতার পরই তৃণমূল কংগ্রেস এই নিয়ে আক্রমণ করে কেন্দ্রকে। এই বাজেটকে Andhra-Bihar Budget বলে কটাক্ষ করা হয় অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও। কুণাল ঘোষ আলাদা ভাবে ট্যুইটে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় বাজেট নয়। এটা কুর্সি রাখতে অন্ধ্র ও বিহারকে তোষণের বাজেট। বাংলাকে আবার বঞ্চনা। অথচ বাংলার কিছু কাজকে নকল করার চেষ্টা। দেশের মূল সমস্যাগুলির সমাধানের দিশা নেই। শব্দ আর সংখ্যার জাগলারিতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা। কেন্দ্রের আর্থিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়ার প্রতিফলন।’ অন্যদিকে কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তাঁর বক্তব্য, ‘২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহার অর্থমন্ত্রী পড়েছেন জেনে ভাল লাগল। কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তেহারের ৩০ নম্বর পাতায় কর্মসংস্থান সংযুক্ত যে ইনসেন্টিভের কথা বলা হয়েছিল, তিনি তা গ্রহণ করেছেন দেখে আনন্দিত। কংগ্রেসের ইস্তেহারের ১১ নং পাতা. ইন্টার্নশিপের জন্য অ্যালাওয়্যান্সের কথা বলা হয়েছিল, সেটিও নিয়েছেন দেখে খুশি। কংগ্রেসের অন্য আইডিয়াগুলিও তিনি কপি করলে আরও খুশি হতাম। কী কী বাদ গেল, তা শীঘ্রই জানাচ্ছি’। সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে বাজেট প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বলেন, ‘সরকারকে বাঁচাতে বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে কৃষকদের জন্য কোন বিশেষ সুবিধা নেওয়া হয়নি। কৃষকের ফসলের উৎপাদন ও দামের জন্য বাজেটে কী উল্লেখ আছে? এর পাশাপাশি বেকারত্ব নিয়ে সরব হন 1 অখিলেশ। বলেন,’ গত ১০ বছরে বেকারত্ব বাড়িয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে মিথ্যে স্বপ্ন দেখান হচ্ছে।’
অন্যদিকে বাজেট নিয়ে সরব হয়েছে কংগ্রেস। এই নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন,’ বাজেটে সাধারণ মানুষদের কথা উল্লেখ নেই। আয় বৈষম্য দূর করার বিষয় নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি প্রতীকী অঙ্গভঙ্গি করা হয়েছে। এবারের বাজেট একেবারেই হতাশাজনক।’ এখান থেকেই স্পষ্ট যে শরিকদের খুশী করতে গিয়ে বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে মোদি সরকার। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে ট্যুইট করে লেখেন, এই বাজেট “কুর্শি বাচাও বাজেট” পাশাপাশি তিনি লেখেন এই বাজেটটি শুধুমাত্র এক বছরের শাসন নিশ্চিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাজেটে পাঞ্জাবকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে বিক্ষোভ শুরু করেন কংগ্রেসের পাঞ্জাবের সাংসদরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*