রোজদিন ডেস্ক :- রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর আগে প্রথমবার হাজিরা এড়িয়ে ছিলেন অভিনেত্রী। দ্বিতীয়বার তাঁকে ই-মেল করে ১৯ জুন আসার কথা বলা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতরে। এদিন বেলা ১২ বেজে ৫৩ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছান অভিনেত্রী।
আজ, বুধবার সকাল থেকেই ইডির সমনের জবাবে হাজিরা দেবেন কি না তা নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে চূড়ান্ত জল্পনা। এর আগে বিদেশে থাকার অজুহাতে গত ৫ জুন হাজিরা এড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। সকাল থেকে বিধাননগর পুলিশের তরফ থেকে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সিজিও কমপ্লেক্স জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিধাননগর মহিলা পুলিশ, র্যাফ সহ বিশাল বাহিনী। এদিন হাজিরা বেশ কিছুটা আগে ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছান অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক। সঙ্গে এসে পৌঁছান আইনজীবীরাও। এর কিছু সময় পর বেলা ১২টা বেজে ৫৩ মিনিটে ইডি দফতরে হাজির হন অভিনেত্রী। এই মুহূর্তে তাঁকে জেরা করার পর্ব শুরু হয়েছে। রেশন দুর্নীতি মামলায় একগুচ্ছ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে অভিনেত্রীকে।
এর আগে ২০১৯ সালে অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ইডির তলবের মুখে পড়েছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। একগুচ্ছ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। জেলবন্দি রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। রোজভ্যালি বাংলা সিনেমায় বিনিয়োগ করেছিল। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই রোজভ্যালির প্রযোজিত সিনেমায় কাজ করেছিলেন।
প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, ব্যাঙ্কে লেনদেনের তথ্যর উপর ভর করেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিনেত্রীকে ইডি তলব করেছে। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এর আগে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, “খুব অবাক হয়েছি শুনে। আমি এ ব্যাপারে সত্যিই কিছু জানি না। রেশন দুর্নীতি কী? সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাই নেই। এর পরই আবার ঋতুপর্ণা বলেন, “সামনে আমার অনেকগুলো ছবির মুক্তি রয়েছে। তার মাঝে এমন খবর, মোটেই আমার জন্য ভালো নয়। আমার সম্মানহানি হল। সারাজীবন পরিশ্রম করছি। হঠাৎ করে আমার নামে এমন বলে দেওয়া খুবই অন্যায়।”
Be the first to comment