রোজদিন ডেস্ক :- দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ ঘিরে নতুন মোড়। এখনো পর্যন্ত স্থগিত শপথ গ্রহণের কাজ। এর আগে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠেছিল সেই আবহেই এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দের অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বরানগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, উপনির্বাচনে জিতে দু’জন বিধায়কের শপথ নেওয়ার কথা। অথচ রাজ্যপাল শুধু তাঁকে আহ্বান জানিয়েছেন। একা তাঁকেই ডেকেছেন। কিন্তু সায়ন্তিকার বক্তব্য বিধানসভায় এসে যাতে রাজ্যপাল শপথবাক্য পাঠ করান। আর তার জন্য বুধবার বিধানসভার সিঁড়িতেই চার ঘণ্টা ধর্নায় বসেছিলেন সায়ন্তিকা এবং ভগবান গোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার।
বৃহস্পতিবার বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তৃমমূলের অন্য বিধায়করাও রয়েছেন সেখানে। আর ওই অবস্থান বিক্ষোভ থেকেই রাজ্যপালের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সায়ন্তিকা।
সংবাদ মাধ্যমকে সায়ন্তিকা বলেন, “রাজভবনে যাব না। উনি আমাদের বাধ্য করছেন এই সিদ্ধান্ত নিতে। কাল অনেক কথা বলিনি আমরা, বলতে চাইনি। অনেক সন্দেহ রয়েছে। রাজ্যপালের চেয়ারটিকে সম্মান করি বলেই কিছু বলিনি। ২১ তারিখ স্পিডপোস্টে এবং ইমেলে আমার একার কাছে কেন চিঠি পৌঁছবে? স্পিড পোস্টে ভগবানগোলায় চিঠি পৌঁছতে ৪০-৫০ ঘণ্টা লাগতে পারে। কিন্তু ইমেলে চিঠি পৌঁছতে দেরি হওয়ার কথা নয়। ভগবানগোলার বিধায়কের কাছে তো ইমেল পৌঁছয়নি!”
সায়ন্তিকা আরও বলেন, “উপনির্বাচন তো দুই জায়গায় হয়েছে! তাহলে আমাকে একা কেন ওখানে ডাকা হচ্ছিল? বিধানসভা, বিধানসভার স্পিকার, কাউকে কিছু জানানো হয়নি যে কাকে পাঠানো হবে, কী ব্যবস্থাপনা হবে, সেই নিয়ে কিছু করা যায়। আমাকে একা জানানো হয়েছে। সন্দেহজনক তো বটেই। আমি নিরাপদ বোধ করছি না এভাবে রাজভবনে যেতে।”
এই নিয়ে রেয়াত বলেন, “আমরা প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাব। আমরা কি শপথ নেওয়ার যোগ্য নই? একসঙ্গে লোকসভা-বিধানসভা উপনির্বাচন হয়েছে। লোকসভার বিজয়ীরা প্রোটেম স্পিকারের কাছে শপথবাক্য পাঠ করেছেন। আমরা পারছি না। আমাদের সব কাজ পড়ে রয়েছে। মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না।”
এইদিন নবান্নের বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই একই বিষয়ের ওপর প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন রাজভবনে মেয়েরা যেতে সাহস পাচ্ছেন না।
Be the first to comment