ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত যেসব মানুষ এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি, তাদের সাত দিনের মধ্যে তা মিটিয়ে দিতে হবে। মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসকদের এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম – এই ৫ জেলার কাজের খতিয়ান নিতে নবান্নে বৈঠকে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে সময়সীমা কঠোরভাবে বেঁধে দিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমফানের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ ৩, ৪ দিনের মধ্যে শেষ করে ফেলুন। আর ফেলে রাখবেন না।
এরপরই তাঁকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানান, ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরির কাজ কোনও কোনও জেলায় ১ থেকে ২ শতাংশ বাকি আছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের সুরে বলেন, যেটুকু কাজ বাকি, তা দ্রুত শেষ করতে হবে, সাত দিনের মধ্যেই যেন তা সমাপ্ত হয়।
মে মাসের ২০ তারিখ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আমফানে প্রায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরে মতো উপকূলবর্তী এলাকা। কলকাতা, হাওড়া, হুগলিরও ক্ষতির মুখে পড়েছে। আবেদন করেও যাঁরা আমফানে ক্ষতিপূরণ পাননি তাঁদেরকে দ্বিতীয়বার আবেদনের সুযোগ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।
গত ৬ ও ৭ আগস্ট স্থানীয় জেলাশাসকের অফিসে আবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য করা হয়েছিল। এই দু’দিনেই পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা ও দুই ২৪ পরগনা, এই ছয় জেলা মিলিয়ে জমা পড়ল ৫ লক্ষ ৭০ হাজার আবেদন। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় নবান্নের কর্তাদের।
জানা যায়, ৫ লাখ ৭০ হাজার আবেদনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২ লক্ষ ৭ হাজার আবেদন জমা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এরপরই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় আবেদন জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার। তৃতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। এই জেলায় আবেদন জমা পড়ে ১ লাখ ১৭ হাজার।
Be the first to comment