রোজদিন ডেস্ক :- পরনে সাদা মাটা শাড়ী, কপালে টিপ, দেখে বোঝার জো নেই, তিনি একটা আস্ত ডাকাত দল চালান। সাধারণ গৃহ বধূর মত বেশ ভূষো আশা দেবী ওরফে চাচী। বাড়ী বিহারের সমস্তিপুরে। অপরাধীদের রেইকী থেকে আশ্রয়। এমনকি অপরাধীদের জন্য গাড়ী যোগাড় করা সবটাই সূক্ষ ভাবে করতেন এই চাচী। বয়স ৪৯ বছর।
হাওড়ার ডোমজুরের ডাকাতির জন্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এই চাচী কে। দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক অপরাধ মূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে এই চাচী। হাওড়া জেলা পুলিশ বিহার থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া দিনে দুপুরে ডোমজুড়ের একটিই সোনার দোকানে গুলি চালিয়ে ডাকাতি করে একদল দুষ্কৃতী। সি সি টিভি ফুটেজ ছাড়াও কিছু সূত্র ধরে জানতে পারে এটি বিহারের দল। প্রথমে তদন্তকারী অফিসাররা মনে করেন এটা সুবোধ সিং এর গ্যাং। পরে জানা যায়, সুবোধ সিং নয়, তাঁর ই একসময়ের ঘনিষ্ঠ রবীন্দ্র সাহানীর মাথা রয়েছে এই কাণ্ডে। এখনো পর্যন্ত ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ,যে স্থানে ডাকাতি হবে বলে ঠিক করা হয়, সেই স্থানে এই চাচী পৌঁছে যান।
ডোমজুড়েও আত্মীয়ের সুবাদে ঘর ভাড়া নেয়। আবার তিনটে বাইক ও জোগাড় করে ন, যেগুলিতে করে সোনার দোকানে পৌঁছোয় দুষ্কৃতীরা।
এই চাচী ডাকাতির জায়গা স্থির করে বাকি সদস্যদের একে একে আসতে বলেন। দীর্ঘদিন রেইকি করার পর এই ডোমজুড়ে দোকান টিকে নিশানা করে।
তদন্তকারী অফিসাররা জানান, ডাকাতি করার পর কোন পথে যাবে, কার হাতে হস্তান্তর হবে ডাকাতির জিনিস এগুলি সব ই এই চাচী ঠিক করতেন। অফিসার রা আরো জানান প্রায় ৬লক্ষের কাছাকাছি টাকা নিতেন এই চাচী। প্রায় একমাস বিহারে থেকে তল্লাশী চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৩জন বিহার পুলিশের হেফাজতে আছে, আর চাচী ও আরেকজনকে হাওড়া আনা হয়েছে, আদালতে পেশ করা হয়েছে।
Be the first to comment