সেফ হোম নিয়েও তরজা, বিজেপি কাউন্সিলরের সেফ হোম বন্ধ করলো পৌরসভা

Spread the love

ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের মাঝেই সেফ হোম নিয়েও বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত। বিজেপি কাউন্সিলরের তৈরি সেফ হোম বন্ধের নির্দেশ কলকাতা পুরসভার। সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে সেফ হোম তৈরি করেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। পুরসভাকে না জানিয়েই পুরসভার পার্কে কীভাবে সেফ হোম? এই প্রশ্ন তুলে সজলের সেফ হোম বন্ধের নির্দেশ দিলেন মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। মুচিপাড়া থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “সমস্যাটা আমাকে নিয়ে। আমি উদ্যোগটা নিয়েছি। বলছে সেফ হোমের অনুমতি। আমি তো বললাম, আমি অনুমতি নিয়ে নেব। সেফ হোম যে তৈরি হচ্ছে, সকাল থেকেই সেটা তাঁরা জানেন। আমার কাছে প্রমাণও রয়েছে যে পুলিশ জানে। আমি বলেছিলাম অনুমতি নিয়ে নেব। পুলিশ এই অনুমতি দেওয়ার কে? যদি হেলফ ডিপার্টমেন্ট নির্দেশ দেয়, তাহলে পুলিশ সেটা করতে পারে।”

অন্যদিকে, এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কারোর একটা ঘর রয়েছে, আমি বেড বিছিয়ে দিলাম। সেফ হোম হয়ে গেল, তা তো হয় না। এটার একটা নিয়ম আছে। যেটা স্বাস্থ্যভবনের অনুমতি ছাড়া হয় না। যাঁরা এই কাজগুলি করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। কারণ মানুষের জীবন নিয়ে আমরা খেলা করতে পারি না। পুরসভার পক্ষ থেকে একটা ফর্মাল কমপ্লেন করা হয়েছে। সেফ হোম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

কলকাতা কাবু কোভিডে। যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ফের খোলা হচ্ছে সেফ হোমগুলি। তিনটি সেফ হোমের শয্যা সংখ্যা ৩৫০। কলকাতার তিনটি সেফ হোম। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হল বাইপাস সংলগ্ন সেফ হোম। এখানে রয়েছে ২০০ টি শয্যা। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দুই কর্তা ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি পরিদর্শন করেছেন। বেডগুলির পরিকাঠামো, কাজের গুণগত মান, পরিচ্ছন্নতা-সব খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। পরিদর্শনে গিয়েছেন রাজ্য দফতরের এক জন হেলথ অফিসারও।

আরেকটি সেফ হোম হয়েছে কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে। এই সেফ হোমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ আবার বৃদ্ধি পাওয়ায়, তা খোলা হয়েছে। সেগুলিকে চালু করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ১০০ টি শয্যা রয়েছে। ইতিমধ্যেই তা পরিস্কার করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্যভবনের তরফে চিকিৎসক ও নার্সরা এই সেফ হোমের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। কলকাতার তৃতীয় সেফ হোমটি রয়েছে উত্তর কলকাতায়। সেখানে ৫০টি শয্যা রয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*