হামলা হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- মার্কিন সময় অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা বেজে ২ মিনিট। পেনসেলভেনিয়ায় বুটলার এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখতে ওঠেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন বাজছে, ‘গড ব্লেস ইউএসএ’ গানটি। জো বাইডেনকে আক্রমন করে নিজের বক্তব্য শুরু করেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আচমকাই পাঁচবার গুলির বিকট শব্দ শোনা যায়। তারপরই কানে হাত দিয়ে মঞ্চেই বসে পড়েন ট্রাম্প।
দ্রুত মঞ্চে ছুটে আসে মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা। মাথা নীচু করে আতঙ্কে তখন কাঁপছে হাজার হাজার সমর্থক। চলছে তীব্র চিৎকার। ট্রাম্পকে কার্যত চ্যাংদোলা করে নিয়ে গাড়িতে তোলেন সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। মুষ্টিবদ্ধ হাত উঁচিয়ে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিড় বিড় করে কিছু বলতে শোনা যায় ট্রাম্পকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে FBI। একের পর এক তথ্য সমনে আসছে। ঘটনায় বন্দুকবাজকে প্রথমেই খতম করে দেওয়া হয়েছে। এবার সেই বন্দুকবাজের পরিচয় জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর গুলি চালানো বন্দুকবাজের বয়স মাত্র ২০ বছর। নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। সে পেনসিলভেনিয়ারই স্থানীয় বাসিন্দা ছিল। ওই যুবক ঘোষিত ট্রাম্প এবং রিপাবলিক পার্টির বিরোধী ৷ এর আগেও বিভিন্ন সময় ভিডিয়োবার্তায় ট্রাম্পের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাকে ৷ ট্রাম্পের মঞ্চ থেকে মাত্র ১২০ মিটার দূরে একটি বাড়ির ছাদে হামাগুড়ি দিচ্ছিল এই শুটার। তবে ঠিক কী কারণে সে ট্রাম্পের উপর প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা করে, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট হয়নি।
শুটারকে খতম করে ইউএস সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা। সেই মুহুর্তের ভিডিয়ো এই মুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ট্রাম্প যেখানে ভাষণ দিচ্ছেন, তার পাশেই একটি বাড়ির ছাদে আছেন দুই স্নাইপার। এদিকে উলটো দিকে অপর এক ছাদে ছিল সেই শুটার। তার দিকে আগে থেকেই নজর ছিল স্নাইপারের। তাহলে কেন এই ঘটনা ঘটল? কেন আগেই শুটারকে খতম করল না সেই স্নাইপার? একাধিক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*