রোজদিন ডেস্ক :- অধ্যক্ষ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার ধ্বনিভোটে ওম বিড়লাকে লোকসভার অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত করা হয় ৷ সেই সময় জেডি(ইউ) সাংসদ লালন সিং এবং বিরোধী দলের অনেক নেতাই ডিভিশন-এর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন ৷ তাতে কর্ণপাত না করে ওম বিড়লাকে সংসদের নিম্নকক্ষের অধ্যক্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব ৷
এ নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী সংসদের কোনও সদস্য যদি ডিভিশনের কথা তোলে, তাহলে প্রোটেম স্পিকারকে ডিভিশনের অনুমতি দিতে হবে ৷ লোকসভা ফুটেজে আপনারা পরিষ্কার দেখেছেন এবং শুনেছেন, বিরোধী দলের বহু সদস্য ডিভিশনের কথা তুলেছিলেন ৷”
অধিবেশনের শুরুতে ওম বিড়লাকে অধ্যক্ষ করা নিয়ে প্রস্তাব পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এরপর একে একে এনডিএ ও ইন্ডিয়া- উভয় শিবিরের সাংসদ ওম বিড়লা এবং কে সুরেশকে নিয়ে প্রস্তাব পেশ করেন ৷ বাকিরা তাঁদের সমর্থন করতে থাকেন ৷ এরপরই প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মহতাব ধ্বনি ভোট করে ওম বিড়লাকে অষ্টাদশ লোকসভার অধ্যক্ষ হিসেবে ঘোষণা করেন ৷
এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “বিরোধী শিবিরের অনেকে ভোট করতে চেয়েছিল ৷ এদিকে কোনও ভোট ছাড়াই প্রস্তাব গৃহীত হয় ৷ এতে পরিষ্কার প্রমাণ হয়ে যায় যে, শাসকদল বিজেপির কাছে সংখ্যা নেই ৷ এই সরকারের জনাদেশ নেই ৷ এটা বেআইনি, অনৈতিক এবং অসাংবিধানিক ৷”
তবে অভিষেক এই কথা বললেও কংগ্রেস সাংসদ জয়ারাম রমেশ বলেন যে ভোটাভুটির কোনো প্রসঙ্গই ওঠে নি।
সাধারণত সরকার এবং বিরোধী দল নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে লোকসভার অধ্যক্ষ কে হবেন, তা ঠিক করেন ৷ এবার সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিরোধীদের পক্ষে মল্লিকার্জুন খাড়গের মধ্যে আলোচনা হলেও অধ্যক্ষ পদ নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হয় ৷ তাই নির্বাচনের মাধ্যমে অধ্যক্ষ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশ ৷ অন্যদিকে এনডিএ জোট প্রার্থী করে ১৮ তম লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেই ৷
Be the first to comment