রোজদিন ডেস্ক :- নবান্নের কড়া হুঁশিয়ারির পরও গণপিটুনির ঘটনা ক্রমশ ঘটেই চলেছে চারিদিকে। মঙ্গলবার রাতেও শিয়ালদহ এলাকায় এনআরএস হাসপাতালের সামনে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন এক যুবক। এমনকি আরিয়াদহ তে কাল একটি মা ও ছেলে এইভাবে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। গুন্ডারা তাদের মেরে দাঁত ভেঙে দেন এই অভিযোগ বেলঘরিয়া থানায় দায়ের করা হয় ।
সম্প্রতি রাজ্যজুড়ে যেভাবে গণপিটুনির কাণ্ড ঘটে চলছে একের পর এক সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও। সূত্রের খবর, এবিষয়ে মঙ্গলবার নবান্নে পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশ প্রশা্সনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এরপরই শীর্ষ আধিকারিকদের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা বলেন, “জনগণকে বলব, হাতে আইন তুলে নেবেন না। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে পুলিশকে জানান। কিন্তু তা না করে হাতে আইন তুলে নিলে আমরা বরদাস্ত করব না।”
হাতে আইন না তুলে নেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেলেই নবান্ন থেকে করা বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা। তারপরও খোদ কলকাতায় যেভাবে মানুষজন হাতে আইন তুলে নিয়েছেন তাতে উদ্বিগ্ন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে জেলাতেও। প্রতিদিন একটি করে এই গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবার নবান্ন থেকে আরও কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ পৌঁছল জেলায় জেলায়। প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার, রেল পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার-সহ পদস্থ আধিকারিকদের উদ্দেশে বুধবার এডিজি আইন শৃঙ্খলার তরফে এক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
তাতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্য জুড়ে যে গণপিটুনির ঘটনার প্রবণতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে তার বিষয়ে এবার করা পদক্ষেপ নিতে হবে। ইদানিং তা আরও বেড়েছে। হাতে আইন তুলে নেওয়ার এই প্রবণতা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। প্রতিটি থানার পুলিশকে এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশকেও আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে বা এই জাতীয় ঘটনার সম্ভাবনার কথা শুনলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
Be the first to comment