রবিবারই ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার শেষদিন। এদিন বইমেলার সাফল্য নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। রবিবার এই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি শুধাংশুশেখর দে। উপস্থিত ছিলেন ভারতে স্পেনের রাষ্ট্রদূত হোসে মারিয়া। এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকেই জানিয়ে দেওয়া হল, ২০২৩ সালের কলকাতা বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি স্পেন।
একইসঙ্গে গিল্ডের সভাপতি জানান, কোভিডের তৃতীয় ঢেউ পার করে সবে বইমেলা শুরু হয়েছিল কলকাতায়। অথচ তাতেও পাগলের মত বই কিনতে এসেছেন মানুষ। তাঁর পর্যবেক্ষণ, কোভিড-পূর্ববর্তী সময়ে বই পড়ার অভ্যাস ছিল না এমন অনেকেই কোভিডকালে বই পড়া ধরেছেন। তাঁরা বুঝেছেন, বইয়ের পাতায় কী অফুরাণ প্রাণবায়ু লুকিয়ে থাকে। বইমেলার খবর পেয়ে এবার ছুটে এসেছেন তাঁরাও।
কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আবহে কলকাতা বইমেলা। কিন্তু তাতেও বইপ্রেমীদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি। প্রতিদিন বেলা বাড়তেই উপচে পড়েছে বইপোকাদের ভিড়। গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, এবারের বইমেলায় শনিবার পর্যন্ত প্রায় ২০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। রবিবার বইমেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত এই অঙ্ক ২০২০ সালের বিক্রিকে টেক্কা দেবে। ত্রিদিববাবুর কথায়, “মানুষ পাগলের মতো বই কিনেছেন। এমন অনেকেই বই কিনেছেন যাঁরা হয়ত আগে সেভাবে বই পড়তেন না কিন্তু কোভিডের সময় বই পড়েছেন। তাঁরা যখন বইমেলায় হাতের কাছে দেখছেন এত বই স্বভাবতই সকলে খুশি। বসন্তের এই মাতাল সমীরণে এমন পরিবেশে এবারের বইমেলা হল।” তাঁর সংযোজন, “আমাদের মনে হচ্ছে গতবারের ২২ কোটি টাকার বিক্রিকে ছাড়িয়ে যাবে। এটাই আমাদের কাছে সবথেকে গর্বের বিষয়। আমরা গর্বিত কলকাতা বইমেলা নিয়ে।”
আগামী বছর বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি স্পেন। সে দেশের রাষ্ট্রদূত আপ্লুত হোসে মারিয়া বলেন, “কলকাতার সঙ্গে স্পেনের সুগভীর সম্পর্ক। সংস্কৃতি সাহিত্যই পারে সেই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে।” শেষবার ২০০৬ সালে ময়দানে বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি ছিল স্পেন। প্রায় ১৭ বছর পর আবার ২০২৩-এ তারা কলকাতা বইমেলার নিজেদের সাহিত্য সম্ভারে প্যাভিলয়ন সাজাবে। ত্রিদিববাবু জানান, এবার তাঁরা বইমেলা প্রাঙ্গনে একটি আনুষ্ঠানিক ফলক বসাবেন। একইসঙ্গে জানানো হল, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর জানুয়ারিতে শীতের পরশ গায়ে মেখেই করুণাময়ী সেন্ট্রাল পার্কে বসবে বইয়ের আসর।
Be the first to comment