রোজদিন ডেস্ক :- আজ আবারও সেই ঐতিহাসিক দিনের মুখোমুখি হয়েছেন সমস্ত চাকরি হারা শিক্ষক শিক্ষিকা।আজ ২৬ হাজার চাকরিহারার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হতে চলেছে সারা জীবনের মত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসির দুর্নীতি মামলার শুনানি হবে। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
গত সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নজিরবিহীন রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন স্কুলে কর্মরত ২৫,৭৫৩ জন। অযোগ্যদের সঙ্গে চাকরি হারান অনেক যোগ্য প্রার্থীরাও। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন। আজ সোমবার শীর্ষ আদালতে সেই মামলার শুনানি হবে। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি ওঠার কথা রয়েছে।
রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং গোপীনাথ ভঞ্জ সহ অন্যরা। এদিন আবেদনকারীদের হয়ে সওয়াল করবেন অভিষেক মনু সিংভি, মুকুল রোহতগি, পার্থসারথি দেববর্মন, মীনাক্ষি অরোরা, পি এস পাটওয়ালিয়ার মতো সিনিয়র আইনজীবীরা। অন্যদিকে, বিবাদীর পক্ষের আইনজীবী থাকবেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
এর আগেও এসএসসির মামলা শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে এসেছিল। সেসময় একসঙ্গে ২১টি মামলা শুনেছিলেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ। গত বছর নভেম্বর মাসে তাঁরা নির্দেশ দিয়েছিলেন, দু’মাসের মধ্যে সিবিআই তদন্ত শেষ করতে হবে। এবং ছ’ মাসের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ মামলার নিষ্পত্তি করবে। এরপরই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুরু হয় এসএসি মামলার শুনানি।
এবং তার পরেই গত ২২ এপ্রিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেলের মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, যারা ওই প্যানেলে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের প্রাপ্ত পুরো বেতন বার্ষিক ১২ শতাংশ সুদ-সমেত ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
হাইকোর্টের এই রায়ের পরই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। উচ্চ আদালতের রায়ে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে চাকরিহারাদের মধ্যে। এদের মধ্যেও অনেক যোগ্য প্রার্থী প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন। কয়েক জনের দুর্নীতির জন্য কেন সকলের চাকরি বাতিল করা হবে, এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তাই আজ শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় সকলে।
Be the first to comment