চিরন্তন ব্যানার্জি:-
আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তে মৃতার শরীরে একাধিক অংশে ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মুখে, ঠোঁটে, পেটে, হাতে-পায়ে, পেটে, এমনকি যৌনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, রাত ৩টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। তরুণী চিকিৎসকের গলার একটি হাড় ভাঙা। তাই মনে করা হচ্ছে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাঁকে। কী ভাবে এই আঘাত লাগল, তা ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। তবে কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। তবে কি সত্যি সেমিনার হলে ধর্ষণ করে খুন করা হল তরুণী চিকিৎসককে, স্বাভাবিকভাবেই ক্রমশ বাড়ছে সেই আশঙ্কা।
শুক্রবার সকালে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয় মহিলা চিকিৎসকের দেহ। সেই নিয়ে শুরু হয় হইচই। কী ভাবে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। শুক্রবারই আরজি কর হাসপাতালে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়। সেই ময়নাতদন্তে উঠে আসে মৃতার শরীরে একাধিক ক্ষতের কথা।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সেমিনার হলে একটি নীলরঙা কার্পেটের উপর চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। সেই কার্পেটে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ ছিল। তাঁর দু’চোখ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ার চিহ্নও মিলেছে। এ ছাড়া, মুখেও রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশ যেমন বাঁ পা, পেটে, নখে, মুখে, ঠোঁটে, যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। হাড় ভাঙারও কথা উল্লেখ রয়েছে প্রাথমিক রিপোর্টে।
ময়নাতদন্তের সময় বিশেষ চিকিৎসক ছিলেন। মহিলা চিকিৎসকও ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ওই মহিলা চিকিৎসকের মায়ের অভিযোগ ছিল তার মেয়কে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তারপর সূত্রের খবর, রাতের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যা এসেছে তা শুনে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মায়ের আনা অভিযোগটাই সত্য।
Be the first to comment