চিরন্তন ব্যানার্জি:-
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আরজি কর কান্ডের একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানি শুরু হয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন শুনানি শুরুতেই আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে বিকেল ৩টের মধ্যে ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘বিকেল ৩টে পর্যন্ত সময় দিলাম। এর মধ্যে অধ্যক্ষকে স্বেচ্ছায় ছুটিতে চলে যেতে বলুন। না হলে আমরা নির্দেশ দিতে বাধ্য হব।”
মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সোমবার সকালে বলেছিলেন সরকারি চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। বিকেলে তাঁকেই অন্য কলেজের মাথায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তা শুনে প্রধান বিচারপতি বিস্ময়প্রকাশ করে বলেন, ‘‘১২ ঘণ্টার মধ্যে পুরস্কৃত হয়ে গেলেন?’’ প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। ওই প্রিন্সিপাল কি এতটাই প্রভাবশালী যে তাকে মাত্র ৪ ঘন্টার মধ্যে অন্য কলেজের প্রিন্সিপাল বানিয়ে দেওয়া হল?’ এরপর ওই মামলায় রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘তদন্ত করছে পুলিশ। কিছু লুকিয়ে রাখা হচ্ছে না। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আরও এক জন জড়িত। এর কোনও সত্যতা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’’ আরও বলা হয়, ‘‘আমরা বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে প্রস্তুত। তদন্তের রিপোর্টও আমরা দেব। ৩৫-৪০ জনের বেশি লোকের বয়ান নেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে সময় দেওয়া হোক। প্রত্যেকের যে যে অভিযোগ রয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সবার উত্তর দেব।’’ তার পরই প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারের কাছে আরজি কর মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠালেন। মঙ্গলবার দুপুর ১টার মধ্যে কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, এদিন প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত না পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, ততদিন বাড়িতে বসে থাকবেন সন্দীপ ঘোষ।
অন্যদিকে, চিকিৎসক-পড়ুয়ারা যে কর্মবিরতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকেও সমর্থন করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আজ দুপুর একটায় ফের মামলার শুনানি, সেখানেই এ ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Be the first to comment