রাজ্যের প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন না। সেকথা ওই প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্য়ায় বুধবার সকালে টুইট করে না দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। এদিকে গতকাল, মঙ্গলবার মাটি উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মঞ্চে দেখা যায়নি স্থানীয় এই বিধায়ককে।
টুইটে তিনি লেখেন, “আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রীকে এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীকে ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি।” এই প্রাক্তন মন্ত্রী তাঁর টুইটের সঙ্গে দলনেত্রীকে পাঠানো চিঠিও জুড়ে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে চিঠি দিয়েছেন ৩০ জানুয়ারি।
২০১১-এর পরিবর্তনের নির্বাচনে বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক। প্রথমে প্রার্থী হিসাবে বিশিষ্ট চিকিৎসক স্বরূপ দত্তের নাম ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। কোনও কোনও জায়গায় দেওয়াল লিখনও শুরু হয়ে গিয়েছিল। শোনা যায়, সাহিত্য জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তির সুপারিশে প্রার্থী বদল হয়ে যায়। বর্ধমান দক্ষিণের টিকিট পান রবিরঞ্জনবাবু। কারিগরি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছিলেন তিনি। তবে ২০১৬ বিধানসভার পর মন্ত্রিসভায় তাঁর স্থান হয়নি। তবে এখনও তিনি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান রয়েছেন।
সম্প্রতি বর্ধমান শহরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। এক গোষ্ঠী কর্মসূচি করার পরই আরেক গোষ্ঠী রাস্তায় নেমে পাল্টা কর্মসূচি করছে। কেউ কাউকে মানছেন না। সেভাবে বর্ধমান শহরে দলের নিয়ন্ত্রণ কখনও ছিল না রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্য়ায়ের হাতে। বরং ক্রমশ তা হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল।
সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রায় একশো আসনে প্রার্থী বদল করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে বর্ধমান দক্ষিণে তাঁর টিকিট পাওয়া নিয়েও সংশয় ছিল। দলনেত্রীর সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছিল বলেই খবর। দলের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও রবিবাবুর গুরুত্ব কমছিল বলেও তৃণমূলের একাংশ মনে করছে।
Be the first to comment