তিনদিন কেটে গিয়েছে। উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দেহ। হড়পা বানে উত্তরাখন্ডের চামোলি জেলা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেব অনুযায়ী ৩২টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। ১৭০ জন এখনও নিঁখোজ। তপোবন ও ঋষি গঙ্গা প্রজেক্টের এলাকায় আরও জীবিতদের উদ্ধার করা যেতে পারে, এমনই আশা করা হচ্ছে।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দল জানিয়েছে ৩০ জন শ্রমিক টানেলে আটকে থাকতে পারেন। তপোবন পাওয়ার প্রজেক্টের কাজ করছিলেন ওই কর্মীরা। সেখানে ড্রোনের সাহায্যে নজরদারির কাজ চলছে। খুঁজে দেখা হচ্ছে আর কোথাও প্রাণের সম্ভাবনা রয়েছে কীনা।
ভারতীয় সেনার মেজর জেনারেল রাজীব চৎপল জানিয়েছেন, আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধার করতে জয়েন্ট অপারেশন চলছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ ও ভারতীয় সেনা একসঙ্গে মিলে কাজ করছে। দুভাবে চলছে উদ্ধারকাজ। একটি দল টানেলের মধ্যে থেকে কাদামাটি বাইরে বের করে আনার কাজ করছে। আর যেখানে কাদামাটি উপর পর্যন্ত ভর্তি হয়ে রয়েছে সেখানে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা হুলের সাহায্যে দড়ি বেয়ে নেমে মাটি বের করে উদ্ধার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এখনও পর্যন্ত সুড়ঙ্গের মধ্যে দেখা মিলেছে দুটি গাড়ির। টানেলের মধ্যে ঢুকেছে একটি মাটি কাটার মেশিন। যত দ্রুত সম্ভব মাটি বের করে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এনটিপিসির তথ্য অনুসারে, একটি ডোজার ও ২টি লাইট ভেহিকল তখন মেন্টেনেন্সের কাজ করছিল। পাশাপাশি ৩৭ জন এনটিপিসির কর্মী কাজ করছিলেন। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আটকে থাকা কর্মীদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে। উদ্ধার কাজ চলতে থাকবে।
উত্তরাখন্ড সরকার জানিয়েছে যোশীমঠের ১৩টি সীমান্তবর্তী গ্রাম পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়েছে। রেইনি পল্লী, পাং, লাটা, সুরাইথোটা, সুকি, ভালগাওন, তোলমা, ফাগরাসু, লং সেগডি, ভাঙ্গুল, জুয়াগওয়াড়, জুগজু বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাজ্যের অন্যান্য অংশের থেকে।
হেলিকপ্টারে এলাকা পরিদর্শন করছেন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত জানিয়েছে, ডিআরডিও, ইসরোর সহায়তায় ধ্বংসস্থল খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে উদ্ধারকাজে আরও দ্রুততা আসে। এই মুহূর্তে উদ্ধারকারীদের মূল ফোকাসে রয়েছে তপোবন টানেল।
Be the first to comment