একুশের মঞ্চ থেকে দলের কর্মীদের আরও শৃঙ্খলা পরায়ণ হওয়ার বার্তা অভিষেক

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি:- একুশের মঞ্চ থেকে দলের কর্মীদের আরও শৃঙ্খলা পরায়ণ হওয়ার পাশাপাশি আত্মতুষ্টিতে না ভোগার বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই জয়ের পর আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। জয়ের পর আরও বিনয়ী হতে হবে। সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে হবে। কারণ, বাংলার মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতায়নি। জিতিয়েছে তৃণমূলকে। তাই তৃণমূল কর্মীদের দায়িত্বও আরও বেশি করে পালন করতে হবে। তবেই আমাদের লক্ষ্য পূরণ হবে।” সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে বাংলায় বিপুল জয়ের জন্য তৃণমূলের প্রত্যেক কর্মীকে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূলের অভিষেক। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই জয়ের মূল কারিগর দু’জন। এক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দুই, অখিলেশ যাদব। এরা নিজেদের রাজ্য থেকে বিজেপিকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দিয়েছে। এদিন তিনি বলেন, ব্রিগেডের মাটি থেকে যে জনগর্জনের ডাক দিয়েছিলো মানুষ, সেই জনগনের গর্জন কি তা জুনের ৪ তারিখ ভারতের মানুষকে দেখিয়েছেন বাংলার মানুষ। তিনি বলেন, গত বারের ২১ জুলাইয়ে “বলেছিলাম, লোকসভা ভোটে মানুষের শক্তি কী তা দেখিয়ে দেবো। ২৪ এর ভোটে বিজেপিকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেখিয়েছি। ২০১৫ সালে অমিত শাহ-রা এই ধর্মতলায় এসে বলেছিলো ‘ভাগ মমতা ভাগ, ভাগ তৃণমূল ভাগ, আজ বাংলার প্রতিটি এলাকা থেকে মানুষ বিজেপিকে ভাগিয়ে মোদীকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে। এদিন সভাস্থল থেকে তিনি জানান, এক-দেড়মাস আপনারা আমাকে কোনও দলীয় কর্মসূচিতে দেখেননি। তার কারণ, আমি পর্যালোচনা করছিলাম। সেই পর্যালোচনার ফল আপনারা তিন মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। আজকের সভা মঞ্চ থেকে ২৬-এর প্রস্তুতির ডাক দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যারা দলে থেকে দলের প্রতি দায়িত্ববান নন, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিন তিনি বলেন, নিজের কথা ভাবলে চলবে না, কর্মীদের কথা ভাবতে হবে। আপনি যত বড় নেতা হোন না কেন আপনার এলাকায় দল ভালো ফল না করলে দল আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
অভিষেক বলেন, “দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলে যাচ্ছি, যে সব এলাকায় নেতৃত্বর গাফিলতিতে তৃণমূলের খারাপ ফল হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হোক কিংবা পুরসভার কাউন্সিলর, কাউকে রেয়াত করা হবে না।” এদিন তিনি সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, “যে গঙ্গাধর কয়ালকে দিয়ে তৃণমূলের নামে মিথ্যে কুৎসা করেছিল বিজেপি, সেই গঙ্গাধরই বলছে, ভোটের দিনে প্রতি বুথে বিজেপির মদ খরচ পাঁচ হাজার টাকা!” এদিন অভিষেক বললেন, বিজেপি আমাকে হেনস্থা করেছে, আমার বয়স্ক বাবা-মা, আমার স্ত্রী, আমার শিশু পুত্রকে হেনস্থা করেছে। কাউকে ছাড়েনি। কিন্তু আমি বলেছি গলা কেটে দিলেও জয়বাংলা বেরোবে। অভিষেক তাঁর বক্তৃতা শেষ করলেন ২৪ মিনিটের মাথায়। তবে বক্তৃতা শেষের আগে দলে নবীন এবং প্রবীণদের সামঞ্জস্য বিধান করার বার্তাও দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*