৮,৩২৪ জন অযোগ্য সুপ্রিম কোর্টে মানলো এসএসসি

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- গতকাল বিশেষ কারণে এসএসসি দুর্নীতি মামলার শুনানি খারিজ হয়ে যায় এবং তারপর আজ মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারিত হয়। আজ নির্দিষ্ট সময়ে শুনানি শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যকে প্রধানবিচারপতির প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আর যোগ্য-অযোগ্য পৃথকীকরণের প্রশ্ন করে এসএসসি-র কোর্টে বল ঠেলল রাজ্য।
১৯ হাজার চাকরিপ্রাপক যোগ্য বলে মানল এসএসসি এবং সুপ্রিম কোর্ট এই মন্যতা দিলো অবশেষে । এসএসসি সেইসঙ্গে যোগ্য চাকরিহারাদের মুখে হাসি ফোটার মতো ঘটনা ঘটলো। প্রায় ৭ হাজার অবৈধ নিয়োগ হয়েছে, কার্যত তাও মেনে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হল রাজ্যকে। গত সপ্তাহে সোমবার শুনানিতে রাজ্য, এসএসসি, পর্ষদ, চাকরিহারা- সবপক্ষের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার নির্দিষ্ট সময়ে শুনানি শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজ্যকে প্রধানবিচারপতির প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তারপরই এসএসসি জানায় তাদের কাছে তালিকা আছে, ১৯ হাজার চাকরিপ্রাপক যোগ্য ! স্বাভাবিক ভাবেই আদালত প্রশ্ন করে, কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য, তাহলে এতদিন বলতে পারেনি এসএসসি?
আদালতে রাজ্যের দাবি, কারা যোগ্য-কারা অযোগ্য, বলতে পারবে এসএসসি। পুরো প্যানেল বাতিলের প্রয়োজন ছিল কি না, তা বলতে পারবে এসএসসি। অংশবিশেষ বাতিলের সুযোগ ছিল কি না, তাও জানাতে পারবে SSC-ই। অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির প্রশ্নে রাজ্য সরকারকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘কেন রাজ্য অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিল?’ আদালত প্রশ্ন করেন, ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়া অথচ ২০২২-এ কেন অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করা হল, ততদিনে তো প্যানেলের মেয়াদি শেষ হয়ে যায় ! ৬ বছর পরে তো প্যানেলেরই মেয়াদ পার হয়ে যায়। তাহলে সেই প্যানেল থেকে অতিরিক্ত শূন্যপদে লোক নেওয়া হল কেন? রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেন দেশের প্রধান বিচারপতি। ২০২১-এ হাইকোর্টে মামলা, অভিযোগ উঠতেই শূন্য পদ তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করে রাজ্য। রাজ্যের দাবি, ৬ হাজার ৮৬১ অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু, হাইকোর্টের নির্দেশে তা কার্যকর হয়নি’ । তাতে কোর্টের প্রশ্ন, ‘ওয়েটিং লিস্ট থাকা সত্ত্বেও কেন অতিরিক্ত শূন্য পদ?’ ‘নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হলে ওয়েটিং লিস্টও তো বাতিল হয়ে যায়’রাজ্য সরকারের সওয়ালকেই প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের । তবে শীর্ষ আদলত এ শুনানি এখনো চলছে, অপেক্ষায় সর্বশেষ রায়ের।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*