রোজদিন ডেস্ক :- লোক সভা ভোটের মধ্যেই এসএস সি ২০১৬ নিয়োগের প্যানেল নিয়ে এক ঐতিহাসিক রায় দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদীর ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৬ সালের এসএস সি নিয়োগের গোটা প্যানেল বাতিলের রায় দেন কলকাতা হাই কোর্ট। প্রায় ২২ হাজার জনের চাকরি বাতিল করলো আজ। তবে তাঁর মধ্যে শুধু এক জনের চাকরি টিকে গেলো, তিনি হলেন সোমা দাস।
নলহাটির মেয়ে সোমা দাস ২০১৬ সালের নবম – দশম শ্রেনীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন সোমা। সেই নিয়োগের মেধা তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।২০১৯ সালের পর থেকে তাঁর লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
একসঙ্গে দুটি লড়াই লড়ছিলেন সোমা। চাকরির সঙ্গে সঙ্গে মারণব্যাধী ক্যান্সার এর সঙ্গে। শোনা যাচ্ছে মানবিক কারণে সোমা কে চাকরি তে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ আদালত।
চাকরি পাওয়ার পরও চাকরি প্রার্থীদের সাথে সহমর্মিতা দেখাতে ধর্না মঞ্চে সামিল হয়েছেন সোমা। তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন , ন্যায্য চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি গান্ধী মূর্তির তলায় বসে থাকবেন। আশা করাই যায়, আজকের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পর সোমা খুশি হবেন। তবে কোথাও যেন সোমার মুখে আফসোস বানী।
সোমা দাস আজকের এই রায় শুনে বলেন,”আমি কিন্তু চাকরিটা মানবিক গ্রাউন্ড এ পাই ঠিকই, তবে আমি কিন্তু যোগ্য , সাধারণ প্রার্থী হিসেবেই গিয়েছিলাম। আমাদের আন্দোলনের ভিত্তি কিন্তু দুর্নীতি। আজকের এই রায় প্রমাণ করে দিল, এই প্যানেল এ কতটা দুর্নীতি ছিল। তবে একই সঙ্গে বলব, প্যানেল এ অনেক যোগ্য কে যেমন ওয়েটিং এ রাখা হয়েছিল, তেমন অনেক যোগ্যই চাকরি পেয়েছিলেন তবে আজ তাদের চাকরি চলে গেল। আমার মনে হয় দ্রুত তাদের চাকরি ফিরে পাওয়া দরকার, সসম্মানে যাতে তারা স্কুলে যেতে পারেন।”
সোমা দাস আরও জানিয়েছিলেন তিনি যে ক্যান্সার এর রোগী সেই কথা কানে যেতেই , তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সোমাকে শিক্ষকতার চাকরির পরিবর্তে অন্য সরকারি চাকরির প্রস্তাব দেন, তবে সোমা রাজি হননি।তিনি মনে করেছিলেন অন্য দফতরে হয়তো গাঙ্গুলী বাবু আমার চাকরির ব্যবস্থা করে দিতেই পারতেন, তবে সেটা গ্রহণ করলে দূর্নীতির বিরূদ্ধে লড়াই টা আর হতো না। তাঁর শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন টা আর পূরণ হতো না।
Be the first to comment