বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে কি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? এই নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তাঁকে এই অনুষ্ঠানের জন্য কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অন্যদিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের সাক্ষর করা একটি চিঠি দেখা যাচ্ছে। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি পালটা প্রশ্ন করেন, “কবে ডাকল? কাকে ডাকল?” এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি যা বলবে, সব আমায় শুনতে হবে? আমার তো একটা অফিস আছে? আমার কিছু জানা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ওনারা আমাকে কোনও আমন্ত্রণ জানায়নি। নো আমন্ত্রণ। নো ফোন। নো নিমন্ত্রণ।
তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, বিশ্বভারতীর তরফে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল, যখন তিনি বোলপুর সফরে যাবেন। কিন্তু সেই সময় একাধিক বৈঠক করতে হবে । তাই তিনি সময় দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠান। ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। বিশ্বভারতীর আম্রকুঞ্জে আয়েজিত হয় অনুষ্ঠানটি। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর চিঠিটি প্রকাশ্যে এসেছে। চিঠিটি লেখা হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের লেটার হেডে। তাই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সাক্ষরও ছিল। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর প্রশ্ন, সেই চিঠির কোনও প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছিল কি? কেউ ওই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকারের নথি দেখাতে পারবেন? মন্ত্রীর কটাক্ষ, উপাচার্য নিজেই সই করে নিজের কাছে ওই চিঠি রেখে দিয়েছিলেন নাকি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁকে এভাবে আমন্ত্রণ জানানো যায় কি না, সেই প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য বসু।
Be the first to comment