কংগ্রেস সভাপতি পদে দায়িত্ব নিয়েই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি অর্থাৎ ওয়ার্কিং কমিটির বদলে নিজের স্টিয়ারিং কমিটি গড়ে ফেললেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি। ৪৭ জনের এই কমিটিতে যথারীতি রয়েছেন গান্ধীরা। রয়েছেন জি-২৩ গ্রুপের সদস্যরাও। তবে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই কমিটিতে ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে শশী থারুরকে।
খাড়গে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়ম মেনেই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা পদত্যাগ করেছেন। ইস্তফা দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদকরাও। এটাই কংগ্রেসের দস্তুর। দলের নতুন সভাপতি যাতে নিজের টিম বেছে নিতে পারেন, সেকারণেই এই ইস্তফা। দলের পরবর্তী প্লেনারি সেশনে নতুন ওয়ার্কিং কমিটি বেছে নেবেন খাড়গে। সাধারণ সম্পাদকদেরও বেছে নেওয়া হবে প্লেনারি সেশনের পরেই। ততদিন দলের সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ সামলানোর জন্যই এই ৪৭ সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি তৈরি হয়েছে। যা প্লেনারি সেশন পর্যন্তই কাজ করবে।
সেদিক থেকে দেখতে গেলে এটি একটি অস্থায়ী কমিটি। কিন্তু ৪৭ জনের এই কমিটি গড়েই খাড়গে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি আগামী দিনে কাদের নিয়ে কাজ করতে চান। এই কমিটিতে দলের সদর দপ্তরের পদাধিকারীদের রাখা হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদকদের রাখা হয়েছে। রাখা হয়েছে বিদায়ী ওয়ার্কিং কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে। গান্ধীদের নাম তো রয়েইছে, নাম রয়েছে অশীতিপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়েরও। অথচ, এ তো বড় কমিটিতে সভাপতি পদে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে রাখেননি খাড়গে।
সেটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। থারুর নয় নয় করে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ভোটের পর খাড়গে নিজে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। এমনকী বুধবার সকালেও খাড়গের শপথের পর দুই নেতা একসঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছেন, অথচ তাঁকেই কিনা দলের স্টিয়ারিং কমিটিতে রাখা হল না! তাহলে কি একসঙ্গে চলার যা বার্তা খাড়গে থারুরকে দিয়েছিলেন, সেটা নেহাতই কথার কথা!
Be the first to comment