করব, লড়ব, জিতব রে… হায়দরাবাদ কে হারিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন শারুখের কলকাতা নাইট রাইডার্স

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- করব, লড়ব, জিতব রে…জিতেই মাঠ ছাড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তারা হায়দরাবাদকে সহজে উড়িয়ে এই নিয়ে ফের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। এই নিয়ে তিনবার সেরা শাহরুখের কলকাতা। যেরকম বোলিং, সেইসঙ্গে ব্যাটিং করে কেকেআর ম্যাচ জিতে নিয়েছে দশ ওভার বাকি থাকতেই। দারুণ খেলে দিলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। আট উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে কেকেআর। যোগ্য চ্যাম্পিয়ন তারা। হায়দরাবাদের ১১৩ রান করতে কেকেআর নিয়েছে ১০ ওভারের কিছু বেশি।

সুনীল নারিন ব্যাট ধরলেই এবার সোনা হয়ে যাচ্ছে। সেই নারিনকে রবিবার ফাইনাল ম্যাচে বিপক্ষের সেরা পেসার প্যাট কামিন্স ফেরালেন মাত্র ছয় রানে। কিন্তু তাতেও দমেনি কলকাতা দল। কারণ যে দলে এত নামী ব্যাটাররা রয়েছেন, তাঁরা কী করে ম্যাচ জিততে হয় জানেন। ১০ বছর পরে তারা ফের সেরা আইপিএলে।
নারিন ফিরলেও দলের অন্য ওপেনার গুরবাজ ভাল খেলেছেন। তাঁর সঙ্গী বেঙ্কটেশ নায়ার রেমালের আগেই ব্যাটে কামাল করে দিয়েছেন। ১১ রানের মধ্যে কেকেআরের প্রথম উইকেট পড়েছে। দলের বোলিং ওপেন করেছেন হায়দরাবাদের কামিন্স ও অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার। উইকেটে এসেই ঝড়ের গতিতে রান তুলছেন কলকাতার বেঙ্কটেশ আইয়ার। তিনি চলতি আইপিএলে দারুণ ছন্দে ছিলেন। বেঙ্কি করলেন ২৬ বলে ৫২ রান, ইনিংসে রয়েছে চারটি চার ও তিনটি ছয়। পাশাপাশি গুরবাজের ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ বলে ৩৯ রান। দুই উইকেট পড়ে গেলেও দলের নেতা শ্রেয়স আইয়ার শেষ টাচ দিয়েছেন। তিনি করলেন অপরাজিত ছয় রান।
হায়দরাবাদের রান এত কম যে কেকেআরের ব্যাটারদের চিন্তার কোনও কারণ ছিল না। এবারের আইপিএলে সবচেয়ে ভারসাম্যযুক্ত দল ছিল কলকাতা। তাদের মেন্টর গৌতম গম্ভীর শুরুতে এসেই দলের ক্রিকেটারদের কাছে লক্ষ্য পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন।

সেই লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করে কেকেআর। তারা মাত্র তিনটি ম্যাচ হেরেছে, না হলে সারা টুর্নামেন্টে টগবগ করে ছুটেছে। ফাইনাল ম্যাচেও দলের বোলাররা দেখা ভলেন আসল খেলা কাকে বলে। হায়দরাবাদের মতো দলকে ১১ রানে বেঁধে রাখাও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের ছিল।
মিচেল স্টার্কের মতো ২৫ কোটির পেসার দেখিয়েছেন সেরা বোলার কাকে বলে। তিনি গত ম্যাচের মতোই এদিনও শুরুতে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা। রাসেলরাও যোগ্য সঙ্গত করেছেন বোলিংয়ে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*