রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিতে নারাজ নবান্ন। জমায়েত এড়াতে তাই বাতিল করা হল দুয়াকে সরকারের শিবির। হচ্ছে না নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্টস উইক উদযাপনের অনুষ্ঠানও। নবান্ন সূত্রে এই খবর মিলেছে।
৩রা জানুয়ারি থেকে রাজ্যে ফের দুয়ারে সরকার শিবির হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন সভায় সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি ২৪টি প্রকল্পের সুবিধা যাতে মানুষ পান তার জন্য এই শিবিরের গিয়ে রাজ্যবাসীকে নাম নথিভুক্তও করার পরামর্শ গিয়েছেন তিনি। কিন্তু, বাংলায় করোনা সংক্রমণ ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। ফলে এই শিবির হলে যে জমায়েত হবে তা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে আপাতত দুয়ারে সরকার শিবির বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
অন্যদিকে মেধাবী দুস্থ পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষায় সুলভে ঋণ দিচ্ছে রাজ্য। যার পোশাকি নাম স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড। এছাড়াও পড়ুয়াদের সুবিধায রয়েছে নানা সরকারি প্রকল্প। এইসব নিয়েই ৩রা জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্টস উইক পালনের ঘোষণা হয়েছিল। উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু, প্রশাসনের ধারণা, এই অনুষ্ঠান হলে কয়েক হাজার পড়ুয়া ও বহু সরকারি কর্মীর জমায়েত হতে পারে। ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে আগামিকালের এই অনুষ্ঠানও আপাতত বাতিল বলে ঘোষণা করল রাজ্য।
আপাতত সংক্রমণের গতি রোধই রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী কোভিড স্বাস্থ্যবিধি কড়া হাতে কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার কথা বলেছেন। এই পর্যালোচনার ভিত্তিতেই স্কুল, কলেজ খোলা থাকবে কিনা তা দেখার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন ৩রা জানুয়ারি থেকে কনটেনমেন্ট জোন বৃদ্ধি ও সরকারি-বেসরকারি দফতরে ৫০ শতাংশ বাড়ি থেকে কাজে আগ্রাধিকারের বিষয়টি। ট্রেন চলাচলও করবে কিনা তাও আধিকারিকদের পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা।
এই অবস্থায় শনিবার সংক্রমণের গতি রোধে কী পদক্ষেপ করা উচিত তা খতিয়ে দেখতে নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় আগামিতে রাজ্যে ফের জোরাল বিধিনিষেধ জারি হতে পারে বলে জল্পনা।
Be the first to comment