(দুর্গাপুর উইমেনস কলেজ)
বাংলায় শিক্ষাঙ্গণে হয়েছে আমূল পরিবর্তন। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে পড়াশোনার পরিবেশ সবকিছুতেই এক বিশাল পরিবর্তন দেখা যায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। কি ছিল আগে.. আর কি হয়েছে এখন.. তা জানতে আমরা হাজির হয়েছিলাম দুর্গাপুর উইমেনস কলেজের ছাত্রসংসদের কাছে।
রোজদিনের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে দুর্গাপুর উইমেনস কলেজের সাধারণ সম্পাদিকা সুদীপ্তা ব্যানার্জী বলেন- আমাদের ৩৮ বছরের কলেজে সেভাবে আগে কোনো কিছুই উন্নয়ন হয়নি তবে বাংলায় পরিবর্তনের সরকারের হাত ধরে বর্তমানে যেভাবে উন্নয়ন হয়ে চলেছে তা প্রশংসনীয়। কলেজ কতৃপক্ষের সাথে আমরা ছাত্রসংসদও প্রতিনিয়ত আমাদের শিক্ষাঙ্গণকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্রতী হয়েছি। খুব অল্প সময়েই সোসিওলজি, ভূগোল, ফিজিওলজি, মতো বিষয়েও সাম্মানিক চালু হয়েছে এই কলেজে। ন্যাকে আমাদের কলেজ B++ পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিনিয়ত ছাত্রছাত্রীদের কথা ভাবেন। তাঁর মস্তিস্ক প্রসূত কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ বিশ্বসেরা। সেই কন্যাশ্রীর হাত ধরেই বাংলার প্রতিটি মেয়েই আজ উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখে; আমারাও তার বাইরে নয়। কন্যাশ্রীর ফলে আমাদের কলেজে বহু ছাত্রী নতুন করে তাদের পড়াশোনা চালাতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি জানান, লাইব্রেরীগুলিতে নতুন সংস্করনের বই রয়েছে, রয়েছে কলেজে ছাত্রীদের থাকার সুব্যবস্থা, পরিস্কার ক্যাম্পাস, কমনরুম গুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলাধূলার সরঞ্জাম থেকে শুরু করে সিকিউরিটি আছে, যেকোনো সমস্যায় ছাত্রীদের সাথে কলেজ কতৃপক্ষ সমানভাবে যথাসাধ্য সাহায্য করেন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সাথে সুসম্পর্ক আমাদের। যেভাবে অল্প সময়ে কলেজের এত উন্নয়ন হয়েছে, বিল্ডিং বেড়েছে, শিক্ষার পরিপূর্ণ পরিবেশ তৈরী হয়েছে তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি।
Be the first to comment