চিরন্তন ব্যানার্জি :- উদ্ধার কাজ যতই এগোচ্ছে, ততই লাফিয়ে লাফিয়ে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে কেরলের ওয়েনাড়ে। মঙ্গলবার ভোরে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে, কাদাপাথরের ধস নেমে ৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এরপর যত সময় এগোয়, উদ্ধার কাজ এগোতে থাকে তত নিহতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ জন। কেরলের ওয়েনাড়ে ধ্বংসস্তূপের নীচে শতাধিক মানুষ আটকে রয়েছেন। ভারী বৃষ্টির জন্য বার বার উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ধারকাজে গতি আনতে নামানো হলো সেনা।
গত কয়েক দিন ধরেই ভারী বর্ষণ হচ্ছে ওয়েনাড়ে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর ৩টে নাগাদ ওয়েনাড় জেলার পাহাড়ি এলাকায় প্রথম ধস নামার খবর পাওয়া যায়। ভোর ৪টে ১০ মিনিটে আরও একটি জায়গায় ধস নামার খবর আসে। ভোরেই রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। মঙ্গলবার সকালে কেরলের রাজস্বমন্ত্রী কে রাজন জানিয়েছিলেন, আট জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে বাড়তে থাকতে নিহতদের সংখ্যা। ভারী বৃষ্টি এবং ধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওয়েনাড় জেলার মেপ্পাডি, মুন্ডাকাই এবং চুরাল মালা এবং নুলপুঝা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির খবর অনুযায়ী, ধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে এক বছরের এক শিশুরও। আহত ১৬ জনের চিকিৎসা চলছে মেপ্পাডি এলাকার একটি হাসপাতালে। কেরলের মন্ত্রী বীণা জর্জ জানান, উদ্ধারকাজে সহায়তা করছে ভারতের নৌসেনা। ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির সঙ্গে বাকি ভূখণ্ডের সংযোগরক্ষাকারী একমাত্র সেতুটি ভেসে গিয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে প্রশাসন। একটি হল ৯৬৫৬৯৩৮৬৮৯ এবং অন্যটি হল ৮০৮৬০১০৮৩৩। আবহাওয়া দফতর মঙ্গলবারও কেরলের কাসারগড়, কান্নুর, ওয়েনাড়, কোঝিকোড় এবং মলপ্পুরমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি জানান, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে কেরল সরকারকে সব রকম সাহায্য করারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তরফে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
Be the first to comment