বাঙালির খাদ্যাভ্যাসকে ‘মাছে-ভাতে’ বলে খণ্ডায়িত করা হলেও আসল অর্থে ডাল ছাড়া তা অনেকটাই অপরিপূর্ণ। এখন এমন সময় দাঁড়িয়েছে, সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়দিন মাছ মাংস থাকলেও ডাল চাই প্রতিদিন। নানান স্বাদের পদের সঙ্গে নানা রকম ডাল। মুগ, মসুর, অড়হর, মটর-এমন আরও অনেক রকম ডাল আমরা খেতে ভালোবাসি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, কোন ডালে কী কী পুষ্টিগুণ রয়েছে।
চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক…
★ কাঁচা মুগ ডাল যেমন সুস্বাদু,তেমনই পুষ্টিকর। এ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিঙ্ক ও ফাইবার।
★মসুর ডালে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ফাইবার, প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন-বি-১ প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর। এই ডাল রক্তে শর্করা আর কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
★ অড়হর ডাল অত্যন্ত পুষ্টিকর। এই ডালে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন-বি আর পটাশিয়াম রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে।
★ ছোলার ডাল বা চানা ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, কপার, ফোলেট, মলিবডেনামের মতো জরুরি উপাদান যেগুলো আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
★ হজমের সমস্যা কমাতে বিউলির ডাল অত্যন্ত কার্যকর। ভাতের সঙ্গে ছাড়াও পরোটা বা রুটির সঙ্গেও অনেকে এই ডাল খেতে ভালোবাসেন। এই ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন।
বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকলে প্লেটে রাখুন রাজমা ডাল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর ফাইবার যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ডালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে তরকার ডালে। সেই সঙ্গেই এই ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আর ফ্যাট। তরকার ডালে নামমাত্র সোডিয়াম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
Be the first to comment