বলিউডে আবার এক দুঃসংবাদ। আবার নেমে এল এক শোকের ছায়া। মারা গেলেন ‘তিতলি’ খ্যাত অভিনেতা ললিত বহেল। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে একাত্তর বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করলেন অভিনেতা। ‘তিতলি’ ছবির পরিচালক কানু বহেলর বাবা ছিলেন ললিত। বাবার মৃত্যুর খবর তিনি নিজের টুইটারে শেয়ার করেন। তিনি জানান শুক্রবার বাবার হৃদরোগের সমস্যা ছিলই এবং কোভিড আক্রান্ত হয়ে তাঁর শারীরিক সুস্থতা আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
ললিত বহেলের ছেলে কানু পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলে সংবাদটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছিল, “বিকেলে বাবার মৃত্যু হয়েছে। তার হৃদরোগের একটি ইতিহাস ছিল এবং তার উপর কোভিড ছিল, তাই এটি জটিল হয়ে ওঠে। তাঁর ফুসফুসে একটি সংক্রমণ হয়েছিল যা মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং তার আগে বাবার মেডিকেল ইতিহাসের কারণে স্বাস্থ্য আরও জটিল হয়েছিল।”
শুক্রবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকা মৃত্যু হয় বছর সাতচল্লিশের অভিনেতা অমিত মিস্ত্রীর। আর শুক্রবরার দুপুরে ললিতের মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েন বলিউডের একাংশ।
ললিতের মৃত্যুসংবাদটি জানার পরে সায়নী গুপ্তা, রণভির শোরে, আদিল হুসেনের মতো তারকারা ললিত শোকপ্রকাশ করেছেন এবং প্রয়াত অভিনেতার জন্য আন্তরিক শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সায়নী লিখেছেন, ‘এটি কেবল ভয়াবহ। দুঃখিত কানু বহেল, আমরা আজ দু’জন অবিশ্বাস্য শিল্পীকে হারিয়েছি! ললিত বহেল ও অমিত মিস্ত্রি। এটি শুধু খারাপের দিকে এগচ্ছে’।
অভিনেতা আদিল হুসেন লেখেন, ‘আমার এক অতি প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় সহঅভিনেতা ললিত বহেলজি-র মৃত্যুতে অত্যন্ত দুঃখিত। কে, এমন উজ্জ্বলতার সঙ্গে বাবার চরিত্রে ‘মুক্তিভবন’-এ অভিনয় করতে পারবেন! আমার মনে হচ্ছে আমি আবার আমার বাবাকে হারিয়েছি! প্রিয় কানু তোমার ক্ষতির জন্য আমি খুব দুঃখিত!’ রণভীর শোরে লেখেন, ‘এটি পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেলাম, কত-কত স্মৃতি। তাঁর উষ্ণতা, স্নেহ এবং তাঁর জ্ঞান ছিল। তাঁর কাছ থেকে এত কিছু শিখেছি। পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা, কানু বহেল আলিঙ্গন।’
Be the first to comment