সকাল থেকেই বাংলার আকাশ যেন ডুব দিয়েছে অন্ধকারে। সকাল ১০টাতে যা ছবি বিকাল চারটেতেও তাই ছবি। আকাশের রূপ দেখে ঘড়ির কাটা কোথায় দাঁড়িয়ে তা দিনভর বলাটা বড্ড মুশকিল হয়ে দাঁড়ালো। সঙ্গে দিনভরই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির দেখা মিলল গোটা রাজ্যেই। গোটা দিন ভিজল তিলোত্তমা। হাওয়া অফিস বলছে শুধু বুধবার নয়, বৃহস্পতিবারও একই ছবি দেখা যাবে দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গেও আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া-সহ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। এদিকে দুই বঙ্গেই টানা বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রার ক্ষেত্রে অনেকটা পারাপতন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে ২৩ তারিখের পর থেকে ফের ধীরে ধীরে বাড়বে পারা
হাওয়া অফিস বলছে, বর্তমানে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে ঝাড়খণ্ড থেকে অসম পর্যন্ত। এটিই দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। তাতেই বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটা জেলায়। নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢোকার কথা রয়েছে এদিন। তাতে মেঘের সঞ্চার আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম উত্তর প্রদেশে। তবে সেটির সরাসরি কোনও প্রভাব বাংলায় পড়ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পাশাপাশি বইবে ঝোড়ো হাওয়া। তবে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে কমে আসবে বৃষ্টির দাপট। তবে অনেক জেলাতে এদিন রাত থেকেই কমবে বৃষ্টি। তবে সপ্তাহান্ত পর্যন্ত মেঘলা আকাশের দেখা দেখা মিলতে পারে। বুধবার রাতে বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। সবথেকে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির দাপট কমে এলেও উপকূলীয় জেলাগুলিতে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানা যাচ্ছে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ঘোরাফেরা করছে ৪৬ থেকে ৯৬ শতাংশের আশপাশে।
Be the first to comment