রোজদিন ডেস্ক :- দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ শনিবার ১৫ জুন একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে প্রেস ক্লাবে।
গত ১২ জুন, বুধবার কামারকুণ্ডু স্টেশনে আরপিএফের ধাক্কায় ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় এক গরিব হকার রাকেশ ঘোষালের।
এই দিন সভায় উপস্থিত ছিলেন কবি প্রসূন ভৌমিক, বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং প্রাক্তন আর এস এস সদস্য রন্তিদেব সেনগুপ্ত, গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়, সিদ্ধব্রত দাস, প্রাক্তন বামপন্থী নেতা সমীর পুততূণ্ড ও বিশ্বনাথ চক্রবর্তী, বর্ণালী মুখোপাধ্যায়, অমিত কালি, প্রদীপ্ত গুহঠাকুরতা, সুষাণ রায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুমন ভট্টাচার্য।
এই দিন এই সভার প্রধান বক্তা এবং সভাপতি প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু উপস্থিত থাকতে না পারলেও তিনি একটি লিখিত বক্তব্য গণমঞ্চের এক সদস্যকে পাঠান। এই দেশ বাঁচাও গণ মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সকলে তারা নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন এবং আইনের আড়ালে যে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলোর প্রতি যে অন্যায় হচ্ছে তাদের প্রতি এক তীব্র হুমকার ওঠায় এই দেশ বাঁচাও গণমন্ত্র।
তাদের মতে আগে যখন রেলমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন যদি তখন মমতা ব্যানার্জীর কথা শুনে রেল হকারদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হতো তাহলে আজকে এই দিন দেখতে হতো না হকারদের।
এই ঘটনাকে হত্যা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। তাই দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের তরফ থেকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত চাইলেন তারা এবং যেন সেই আরপিএফ জওয়ানের উপযুক্ত শাস্তি হোক এটা আর্জি জানান।
দেশ বাঁচাও গণমন্ত্র বলেন, মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কখনও দেওয়া যায় না। তবুও তারা এই গরিব হকার রাকেশ ঘোষালের জন্য তার পরিবার ন্যূনতম ক্ষতিপূরণটি যাতে দেওয়া হোক তার জন্য দাবি করেন।
গত বছর ৩১ জুলাই মুম্বইয়ের পালভরে একজন রেল সুরক্ষা বাহিনীর কনস্টেবল গুলি চালিয়ে চারজন রেল কর্মচারীকে মেরে দিয়েছিল। সবাই রিপোর্ট করেছিল। আজ অবধিও রেল সেই ঘটনার কারণ জানাতে পারেনি। কেন্দ্র সরকার যেভাবে রেল সুরক্ষ্যবাহিনীকে ব্যবহার করেছে, তারা আদপে আস্তে আস্তে খুনি হয়ে উঠেছে। রক্ষক শেষে ভক্ষক হয় দাঁড়াচ্ছে।
এরপর সভা শেষে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ দাবি জানানো হয়। সেগুলি হল—
যেমন শহীদ রাকেশ ঘোষালের হত্যার বিচার যেন হয়। তাঁর পরিবারকে ন্যূনতম দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত করে অভিযুক্ত আরপিএফ আধিকারীককে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। বিনা পুনর্বাসনে কোনও হকারকে উচ্ছেদ করা যাবে না। স্ট্রিট ভেন্ডরদের সমতুল্য কোনও আইন ঘোষণা করে রেলের হকারদের আইনী স্বীকৃতি দিতে হবে। সাথে রেলের বেসরকারিকরণ বা বিক্রি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
এইসকল দাবি না মানা হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ।
Be the first to comment