ঘুমন্ত বৌমাকে কুপিয়ে খুন করলো শ্বশুর..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- ঘুমের মধ্যেই বউমার সঙ্গে সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটালেন শ্বশুরমশাই। হাড়হিম করা ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠলেন ভদ্রেশ্বরের মানুষজন। পারিবারিক অশান্তির জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে সূত্রের খবর। আর তাই ঘুমন্ত অবস্থাতেই বউমাকে কাটারি দিয়ে কুপিয়ে খুন করল শ্বশুর হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বরে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এই ঘটনার সময় বউমার পাশে ছিল ১০ বছরের মেয়ে। হঠাৎ ঘরে ঢুকে এল শ্বশুর। হাতে কাটারি নিয়ে ঢুকেই গলায় একের পর এক কোপ বসিয়ে দিল বলে অভিযোগ। রক্তে ভেসে গেল বিছানা থেকে মাটি। চিৎকার শুনে পালাবার চেষ্টা করে শ্বশুর। কিন্তু ধরে ফেলল প্রতিবেশীরা।
এদিকে আজ,শনিবার এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে। হুগলির ভদ্রেশ্বর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকায় এখন একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, হঠাৎ কেন এমন করল শ্বশুর?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম মিঠু মিত্র (‌২৯)‌। ভদ্রেশ্বর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন সকলে বসবাস করেন। শনিবার সকালে নিজের ঘরে ঘুমিয়েছিলেন মিঠু দেবী। স্বামী নীলাংশু মিত্র সকালে বাইরে বেরিয়েছিলেন। আর তখনই ঘরে ঢুকে বউমাকে কুপিয়ে খুন করল শ্বশুর হিমাংশু মিত্র বলে অভিযোগ। কাটারির কোপে মুহূর্তেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মিঠু মিত্র।
অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বউমা মিঠু মিত্রকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। কেন এই খুন?‌ সেটা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই খুনের ঘটনায় মিঠুর বাপেরবাড়ির লোকজন অভিযুক্ত শ্বশুরের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন। পুলিশ গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে। শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদেরও।
এছাড়া স্থানীয় মানুষজন থেকে শুরু করে আত্মীয় পরিজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। শ্বশুর হিমাংশু মিত্রকে দফায দফায জেরা করা হচ্ছে। এই আবহে মৃতার মা নমিতা দাস বলেন, ‘রাতেও ফোনে কথা হয়েছে। কী থেকে কী হল, কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। কেন খুন করা হল, জানি না।’ অভিযুক্ত এবং পরিবারের সদস্যদের জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। নেপথ্যে শুধু পারিবারিক ঝামেলা বলে মেনে নিতে নারাজ পুলিশ। আসল ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*