ঘুরে-ট্যুরে

Spread the love

ঘুরে-ট্যুরে

★ ইটাচুনা রাজবাড়ি

সময়ের অভাবেই লম্বা ছুটি না পাওয়ায় ঘোরাবেড়ানো হয়ে ওঠেনা অনেকেরই। তাই এবারে আমরা আপনাকে সন্ধান দেব এমন এক জায়গার যেখানে অনেক কম সময়ে বেশি কিছু উপভোগ করবেন আপনি।

ইটাচুনা রাজবাড়ি বাঙালীর এক জনপ্রিয় বেড়ানোর স্পট হয়ে উঠেছে। গাড়ি নিয়ে হোক বা ট্রেনে তাই চট জলদি উইকেন্ড ভ্রমণের জন্য ইটাচুনা রাজবাড়ি একদম পারফেক্ট। এই রাজবাড়ির আর এক নাম বর্গি ডাঙা। এই রাজবাড়ির মূল আকর্ষণই হল এখানকার আদর আপ্যায়ন।

ইটাচুনা রাজবাড়ির ইতিহাস হয়তো আমরা অনেকেই জানি। বর্গী আক্রমণের পরে মারাঠা সৈন্যদের কিছু অংশ বাংলায় থেকে গিয়েছিল। তাদের বংশধরদের একজন রাজা সাফল্য নারায়ন কুন্ডু। এই কুন্ডু পরিবারের বংশের লোকেরাই ১৭৬৬ সালে ইটাচুনা রাজবাড়ি তৈরি করেছিলেন। বিশাল জায়গা নিয়ে তৈরি এই রাজবাড়ি। কিন্তু অনেকটা সময় খুব খারাপ অবস্থায় পরিতক্ত হয়ে পড়েছিল রাজবাড়ি। কিন্তু কিছু বছর আগে থেকে এই রাজবাড়ীকে আবার নতুন করে সাজিয়ে তোলেন এই বংশেরই উত্তরসূরিরা। তাই এখন ইটাচুনা রাজবাড়ি বাঙালির পর্যটনের এক বিশেষ আকর্ষণ।

এই রাজবাড়িতে দেখার মতো রয়েছে এখানকার অন্দরমহল, পুকুর, শিব মন্দির, ছাদ, বাগান আরও অনেক কিছু। কাছাকাছি বেশ কিছু গ্রাম রয়েছে যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য চলে যেতেই পারেন। এখানে পুকুরে চাইলে মাছ ধরতে পারেন ছাদে ঘুড়ি ওড়াতে পারেন বন ফায়ারও করতে পারেন। রাজবাড়ির বেশ কিছু নিজস্ব প্যাকেজ ট্যুরও রয়েছে।

এছাড়াও এখানে দেখতে পাবেন জটেশ্বর শিব মন্দির, ইমামবাড়া, ব্যান্ডেল চার্চ। এছাড়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাসস্থান দেবানন্দপুর। খাওয়া-দাওয়া তেও রয়েছে চমক। ইটাচুনা রাজবাড়িতে কাঁসার থালায় বাটিতে পাত পেড়ে খেতে বসার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।

এই রাজবাড়িতে কয়েক বছর আগে লুটেরা ছবির শুটিংয়ের জন্য রনবীর সিং এবং সোনাক্ষী সিনহা কাজ করে গেছেন।

★কিভাবে যাবেন-

★গাড়িতে গেলে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আপনাকে যেতে হবে। আজাদ হিন্দ ধাবা বাঁদিকে রেখে তার পরের দিকের রাস্তা ধরতে হবে। সেখান থেকে পৌঁছে যান বোসিপুর। সেখান থেকে ১৯ কিলোমিটার ড্রাইভ করে যান হালুসাই। এখান থেকে ১০ মিনিটের দূরত্বেই রয়েছে ইটাচুনা রাজবাড়ি।

★ ট্রেনেও যেতে পারেন। বর্ধমান যাওয়ার যে কোনও ট্রেনে উঠুন। অথবা মেমারি থেকে পাণ্ডুয়া লোকাল ধরতে পারেন। ব্যান্ডেল ছাড়িয়ে তিন চারটে স্টেশন পরে আসবে খন্যান স্টেশন। ট্রেন থেকে নেমে ভ্যান, রিক্সা বা অটোতে উঠে ১০ মিনিটে পৌঁছে যান ইটাচুনা রাজবাড়ি।

থাকার সুব্যবস্থাঃ

রাজবাড়ি থেকে কুঁড়েঘর সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। বেশ কয়েকটি কুটীরও রয়েছে। এসি, নন এসি সব রকমের ব্যবস্থা রয়েছে। ১৫০০ টাকা থেকে ৮৪০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*