চিরন্তন ব্যানার্জি:-
আরজি কর মামলার জল এবার হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিমকোর্টে গড়িয়েছে। মঙ্গলবার দেশের উচ্চ আদালতে মামলা শুরুতেই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এটা শুধু কলকাতারই নয়, হায়দরাবাদ, আহমেদাবাদ, বিহার-সহ নানা জায়গায় ডাক্তাররা আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। এই টাস্ক ফোর্স তিন সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দেবে শীর্ষ আদালতে। জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য হিসেবে থাকবেন কেন্দ্রীয় সচিবরা।
প্রধান বিচারপতির পরামর্শ জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সদস্য হোকঃ
সার্জন (ভাইস অ্যাডমিরাল) আর সারিন
ডাঃ ডি নাগেশ্বর রেড্ডি
ডাঃ এম শ্রীনিবাস
ডাঃ প্রতিমা মূর্তি
ডাঃ গোবর্ধন দত্ত পুরী
ডাঃ সৌমিত্র রাওয়াত
ডাঃ পদ্ম শ্রীবাস্তব (নিউরোলজিস্ট, এইমস)
অধ্যাপক অনিতা সাক্সেনা (প্রধান কার্ডিওলজিস্ট, এইমস)
অধ্যাপক পল্লবী সাপ্রে (ডিন, গ্রান্ট মেডিক্যাল কলেজ, মুম্বই)
এছাড়া জাতীয় টাস্ক ফোর্সের তত্বাবধানে থাকুন কেন্দ্রীয় সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের চেয়ারম্যান, ন্যাশনার বোর্ড অফ এক্সামিনারসের প্রেসিডেন্ট।
তাঁদের মূল কাজ কী?
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্যবিভাগের সচিবদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য –
কোথায় কত নিরাপত্তাবাহিনী
হাসপাতালগুলিতে কটি বিশ্রামকক্ষ
কী কী সুবিধা পাওয়া যায় রেস্ট রুমে
গোটা হাসপাতাল চত্বর সিসিটিভির আওতায় কি না
হাসপাতালের ভিতরে বা বাইরে পুলিশ ফাঁড়ি আছে কি না
এসব তথ্য নথিভুক্ত করে কেন্দ্রকে দিতে হবে। কেন্দ্রের তরফে তা হলফনামা আকারে পেশ করা হবে শীর্ষ আদালতে।
Be the first to comment