দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। লকডাউনের দু মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানা যায়নি। পঞ্চম লকডাউন বা যাকে আনলক প্রথম পর্ব বলা হচ্ছে, তাতে একটু একটু করে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা শুরু করেছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য৷ কিন্তু তার মধ্যেই প্রতি দিন আক্রান্তের নিরিখে রেকর্ড গড়ছে দেশ।
পাশাপাশি বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যাও। আর সেই সঙ্গে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় জাঁকিয়ে বসছে ভারতের বুকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯৯৮৭ জন। এটি এখনও পর্যন্ত একদিনে রেকর্ড বৃদ্ধি। রোজই এই ভাইরাস নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙছে। এই বৃদ্ধির জেরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৫৯৮ জন।
বিশ্ব সংক্রমণের নিরিখে কিছুদিন আগেই স্পেনকে ছাড়িয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৩১ জনের। এটিও এখনও পর্যন্ত একদিনে রেকর্ড বৃদ্ধি। এর জেরে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭,৪৬৬। এখনও পর্যন্ত করোনায় সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ২৯ হাজার ২১৫। এশিয়ার মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত।
দেশের মধ্যে সব থেকে উদ্বেগজনক জায়গা হচ্ছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাডু ও দিল্লি। সরকারি হিসেবে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ হাজার ৫২৮ আর মৃত্যু হয়েছে ৩,১৬৯ জনের ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫৩ জন। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে গেল মহারাষ্ট্র৷ সেই সঙ্গে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে পাকিস্তানকে টপকে গিয়েছে এই রাজ্য৷
আক্রান্তের সংখায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে এখনও মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩,২২৯ আর মৃত্যু হয়েছে ২৮৬ জনের। এর পরেই রয়েছে দিল্লি, এ রাজ্যে আক্রান্ত ২৭ হাজার ৯৪৩ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৮৭৪ জনের। গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৫৪৫ আর মৃত্যু হয়েছে ১,২৮০ জনের।
উত্তরপ্রদেশে ১০,৯৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৮৩ জনের। রাজস্থানে সংক্রমিত হয়েছেন ১০,৭৬৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৪৬ জনের। মধ্যপ্রদেশে সংক্রমিত হয়েছেন ৯,৬৩৮ জন। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪১৪ জনের। পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
Be the first to comment