রোজদিন ডেস্ক :- জন্মদিনে বন্ধুদের ডেকে আর ফেরা হলো না। ঠানের উল্লাসনগরের বাসিন্দা বছর ২৩ এর তরুণ কার্তিক, জন্মদিনের পার্টির ব্যবস্থা করেছিলেন তার নিজের বাড়িতে। পার্টি বলতে তিন বন্ধুকে ডেকে ঘরোয়া খাওয়াদাওয়া, আনন্দ। কিন্তু এই আনন্দই যেন পরিণত হলো এক দুঃস্বপ্নে । কখনও দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি, এই আনন্দই হবে শেষ আনন্দ! ২৩তম জন্মদিনে বাড়িতে ডাকা তিন প্রিয় বন্ধুই খুন করবে কার্তিককে! তাও আবার পার্টিতে মদ-বিয়ারের আয়োজন কেন কম, সেই অভিযোগে!
জানা গেছে, মদ না পেয়ে জন্মদিনেই যুবককে ছাদ থেকে ধাক্কা মারে ওই তিন বন্ধু। মারা যান ঠাণের উল্লাসনগর বাসিন্দা, বছর ২৩ এর কার্তিক ভয়াল।
পারিবারিক সূত্রের খবর, আনন্দেই কাটছিল জন্মদিনের সন্ধ্যা। নিজের বাড়ির ছাদে বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠেছিলেন বার্থডে বয় কার্তিক। কিন্তু ঝগড়া বাঁধে মদে টান পড়ায়। কেন আরও বিয়ার নেই পার্টিতে, সেই নিয়ে কার্তিকের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তিন বন্ধুর। তাই থেকে হয় হাতাহাতি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঝগড়া চলার সময়ে রাগের মাথায় এক বন্ধুকে মদের বোতল দিয়ে আঘাত মারেন কার্তিক। তার পরেই তিন বন্ধু মিলে একসঙ্গে আক্রমণ করে কার্তিককে। বেধড়ক মারধর করতে থাকে তাঁকে। শেষে চারতলা থেকে কার্তিককে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ওই তিন জন বন্ধু। এবং নিচে পরেই সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয় কার্তিকের। তখনই পালিয়ে যায় তিন বন্ধু। পরে অবশ্য পুলিশ তাদের ধরে ফেলে ২৩-২৪ বছর বয়সি তিন অভিযুক্ত ধীরজ যাদব, নীলেশ ক্ষীরসাগর এবং সাগর কালেকে। যদিও তারা অপরাধ প্রথমে স্বীকার করেনি । তারা দাবি করে, কার্তিকের মার খেয়ে নীলেশ জখম হলে তাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিল দু’জন। ফিরে এসে মৃত অবস্থায় দেখতে পায় কার্তিককে। কিন্তু পরে পুলিশের চাপে পরে তারা সত্যিই ঠিক কি হয়েছিল তা স্বীকার করেন। তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে তাদের।
Be the first to comment