রোজদিন ডেস্ক :- আজ ষষ্ঠী। মানে জামাইষষ্ঠী, ক্যালেন্ডারে এই একটা দিনের দিকে তাকিয়ে একটা বছর পার করতে হয় সব জামাই দের আর শ্বশুর শাশুড়ি দেরও। সারা বছর তো থাকেই কম বেশি তবে স্পেশাল দিনের কথা বললে জামাই আদরের সুযোগ মেলে এই একটা দিনই। তাই আয়োজনে কোনও খামতি রাখতে চান না শ্বশুর-শাশুড়িরা। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, বদলাচ্ছে জামাই ষষ্ঠীর চল, ঘুরে আসছে নিত্য নতুন নিয়ম পদ্ধতি। বাড়িতে এলাহি আয়োজনের বদলে অনেকেই রেস্তোরাঁয় নিয়ে গিয়ে জামাইষষ্ঠী থালি দিয়েই আপ্যায়ন করছেন জামাইকে। আর করবেন নাই বা কেন, বাজারে যা দাম, তার তুলনায় রেস্তোরাঁর ১০০০-২০০০ টাকার থালিও সস্তা বলেই মনে হয় এই দিনের জন্য।
এদিন ফলের দাম যেমন ঊর্ধ্বমুখী, তেমনি বাজারে দেখা মিলছে না ইলিশ মাছের। তাই এবারের জামাইষষ্ঠীতে মধ্যবিত্তদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
এদিন গড়িয়াহাট বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা, ট্যাংরা ৫০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা,বাগদা চিংড়ি ৯০০ টাকা,গলদা ১২০০ টাকা, পমফ্রেট ৯০০ টাকা কেজি। শুধু মাছই নয় জামাইষষ্ঠীর দিন বেড়েছে মাংসের দামও। এদিন চিকেন ২৭০, পাঁঠার মাংস ৮২০-৮৬০ টাকা, পোল্ট্রির ডিম ৭ টাকা। এখান থেকেই স্পষ্ট যে জামাইষষ্ঠীর দিন চরা বাজারদর,বাজার যেন আগুন। পাশাপাশি জামাইয়ের পাতে দিতেই হবে লিচু, আম ও নানা রকম ফলাহার। এদিন লিচু ১৮০ টাকা কেজি, হিমসাগর আম ১৫০ টাকা।
আচমকাই বাজার-দর কেন বাড়ল এমন ভাবে, একি শুধুই জামাইষষ্ঠী জন্য নাকি অন্য কারণ ? প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমলের ধাক্কা। তাতেই নষ্ট হয়েছে বিপুল ফসল। শুধু তাই নয় তীব্র দাবদাহে সবজির ফলন কমছে, পঁচে যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় যোগান অনেকটাই কম। তাতেই দাম চড়া হচ্ছে সবজির। স্বাভাবিক ভাবেই সব জিনিসের দাম অগ্নিসমতুল্য হওয়ায় চিন্তায় ফেলেছে মধ্যবিত্তকে। কবে কমবে বাজার-দর সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে আমজনতা।
অন্যদিকে, জামাইষষ্ঠীতে মিষ্টির পসারও বিশাল। সকাল থেকেই মিষ্টির দোকানগুলিতে লম্বা লাইন। বাটার স্কচ, জলভরা মিষ্টি, স্ট্রবেরি সন্দেশ, ডার্ক চকলেট, কাঁঠাল মিষ্টি , পাতুরি মিষ্টি, ম্যাঙ্গো মিষ্টি, ইত্যাদি নানা রকমের সন্দেশ জুরি মেলা ভার।
Be the first to comment