জেলবন্দি মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি-তে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিতে চলেছেন

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- অবশেষে জেলবন্দি মাওবাদী নেতা অর্ণব দামের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জট কাটতে চলেছে। সোমবার তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি-তে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিংয়ে অংশ নিতে পারেন।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডিতে ভর্তির কাউন্সেলিং নোটিশ আগেই দেওয়া হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নোটিফিকেশন দিয়ে জানানো হয়েছিল আগামী ১৫ জুলাই সোমবার দুপুর ৩ টে থেকে ইতিহাসে পিএইচডিতে ভর্তির জন্য শুরু হবে কাউন্সেলিং। মেধাতালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে অর্ণবের। কাউন্সেলিংয়ের পর ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে ভর্তি প্রক্রিয়া।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই হুগলি সংশোধনাগার থেকে অর্ণব দামকে নিয়ে আসা হয়েছে বর্ধমান সংশোধনাগারে। সোমবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন। ওই দিন তাঁর ভর্তির কাজের জন্য অন্তর্বর্তী প্যারোল মঞ্জুর করেছেন এডিজি কারা।
উল্লেখ্য, পিএইচডির প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম হন অর্ণব দাম। কিন্তু, এই ফলাফল প্রকাশের পর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় আচমকাই ভর্তির কাউন্সেলিং স্থগিত করে দেয়। এই নিয়েই তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। যদিও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ্র দাবি করেছিলেন, যেহেতু অর্ণব সংশোধনাগারের বন্দি তাই কী ভাবে তিনি ‘অফলাইন কোর্সওয়ার্ক’ করতে পারবেন, সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের থেকে। পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিও আলোচনা সাপেক্ষ বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কারা দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয় বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। এরপর অর্ণবের ভর্তির জটিলতা কাটানোর জন্য হস্তক্ষেপ করেন কুণাল ঘোষ। গোটা ঘটনায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভূমিকায় ‘ক্ষুব্ধ’ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও, সামনে এসেছিল এমনই তথ্য। অবশেষে সেই জটিলতা কাটতে চলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সোমবারই পিএইচডির কাউন্সেলিংয়ে অংশ নেবেন অর্ণব।
অর্ণবের ভর্তির বিষয়ে শনিবার ইতিহাস বিভাগের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন উপাচার্য গৌতম চন্দ্র। উল্লেখ্য, খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ছিলেন অর্ণব। পড়াশোনা ছেড়ে সিপিআই (মাওবাদী)-র রাজনৈতিক মতবাদ তাঁকে আকৃষ্ট করে এবং সেই সংগঠনে যোগদান করেন তিনি। এরপর শিলদা ইএফআর ক্যাম্পে হামলার ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর তিনি হুগলির সংশোধনাগারে ছিলেন। সেখানে বসেই তিনি পিএইচডির জন্য যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষা সেট-এর প্রস্তুতি নেন এবং উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে পিএইচডি শেষ করতে পারবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*