চিরন্তন ব্যানার্জি :- গত বছর ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা। তারপর চলতি বছরে একের পর এক রেল দুর্ঘটনা। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস। এ বার মঙ্গলবার হাওড়া থেকে মুম্বইগামী এক্সপ্রেস। ঘন ঘন এই রেল দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে মমতার প্রশ্ন, “এটাই কি সরকার চালানোর নমুনা?” রেলকে নিয়ে সরকারি উদাসীনতা থামবে কবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন এনডিএ এবং ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী থাকা মমতা।
দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি ট্যুইট করেন মমতা। সেখানে এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করার পাশাপাশি নিহতদের পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানান তিনি। তবে পোস্টের শুরুতেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দাগেন তিনি। মমতা লেখেন, “আমি প্রশ্ন করতে চাই, এটাই কি সরকার চালানোর নমুনা?” তার পরেই একের পর এক রেল দুর্ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে মুখ্যমন্ত্রীর আরও বলেন, “প্রতি সপ্তাহে দুঃস্বপ্নের এই ধারাবাহিকতা, রেললাইনে এই মৃত্যুমিছিল—কত দিন আর আমরা সহ্য করব? সরকারের উদাসীনতা কি শেষ হবে না?”
তৃণমূল নেত্রী এক্স হ্যান্ডলে কেন্দ্রকে দুষতেই একে একে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধতে শুরু করেছেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতা-নেত্রীরা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ‘কবচ’ সুরক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবায়নে ‘ঢিলেমি’ নিয়ে। পৃথক রেল বাজেট তুলে দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি।
সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, “রেলে যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে বড় বড় দাবি করে সরকার। তার পরও দুর্ঘটনা কী ভাবে হচ্ছে? কেন সাধারণ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে?”
পাশাপাশি আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝাঁ আবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ‘কবচ’ ব্যবস্থা নিয়ে। তিনি বলেন, “এখন রেল দুর্ঘটনা ছাড়া একটি দিনও যদি কেটে যায়, সাধারণ মানুষ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান। গত বছরের বাজেটে ‘কবচ’ ব্যবস্থা নিয়ে বড় বড় দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এ বারের বাজেটে এক বারের জন্যও সেটির কথা উল্লেখ করলেন না।” অন্যদিকে কংগ্রেস সাংসদ মানিকাম ঠাকুর আবার ঝাড়খণ্ডের রেল দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। তিনি বলেন, “অশ্বিনী বৈষ্ণব রেলমন্ত্রী হিসাবে নন, রেল দুর্ঘটনা মন্ত্রী হিসাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
Be the first to comment