তৃণমূলের স্বস্তি আদালতে, পুরুলিয়ার জয়পুরের আসনে লড়বেন মমতার প্রার্থীই

Spread the love

‘অঘটন’ ঘটতে ঘটতেও ঘটল না। ২৯৪ নয়, পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল, আগামী বিধানসভা ভোটে ২৯৩ আসনে লড়তে হত শাসক দল তৃণমূলকে কারণ প্রথম দফা ভোটের একটি আসনের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ত্রুটিপূর্ণ মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন পুরুলিয়ার জয়পুরের শাসক দলের প্রার্থী উজ্জ্বল কুমার। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন চলে যাওয়ার ওই আসনে আর অন্য কোনও প্রার্থীও দাঁড় করানোর সম্ভাবনাও ছিল না তৃণমূলের পক্ষে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে অবশেষে স্বস্তি ফিরল শাসক শিবিরে।

পুরুলিয়ার জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন বাতিল হতেই জয়পুর বিধানসভা তৃণমূল নেতৃত্ব-সহ জেলা নেতৃত্বের তরফে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিন সেই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওই প্রার্থীর মনোনয়নে যে ত্রুটির কথা বলা হচ্ছে, তা খুবই সামান্য। এই কারণে মনোনয়ন বাতিল করা উচিৎ হবে না।’ তাই উজ্জ্বল কুমারের আগের মনোনয়নই নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নতুন করে তাঁকে আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

‘অঘটন’ ঘটেই চলেছে তৃণমূলে। দলে-দলে নেতানেত্রীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। এই পরিস্থিতিতে স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোট পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এরই মধ্যে শাসক দলের প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন চলে যাওয়ার ওই আসনে আর অন্য কোনও প্রার্থীও দাঁড় করানোর সম্ভাবনা ছিল না তৃণমূলের পক্ষে। ফলে শোরগোল পড়ে যায় পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের মধ‍্যে।

পুরুলিয়ার ২৪১ নম্বর জয়পুর আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছেন উজ্জ্বলকে। কিন্তু তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ওইদিনই তাতে ক্রুটি ধরা পড়ে। তার প্রেক্ষিতে বুধবার বেলা ১১ টার মধ্যে সংশোধিত হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনের তরফে। সেই অনুযায়ী বুধবার তিনি নথি জমাও করেন। কিন্তু সেখানে দেখা যায় তারিখ দেওয়া রয়েছে ৮ মার্চ। কিন্তু সংশোধিত হলফনামা জমা করার জন্য কমিশন তাঁকে চিঠি দিয়েছিল ৯ মার্চ। ব্যস, এরপরই মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।

যদিও মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে প্রার্থী উজ্জ্বল কুমার অবশ্য বলেছিলেন, তাঁর মনোনয়ন কেন বাতিল করা হল, তা জানাতে পারবেন, যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরাই। তবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সেই দায় নিতে রাজি না হলেও পরে ঠিক হয়, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া হবে। সেই মতোই বৃহস্পতিবার মামলাটি হাইকোর্টে উঠলে তৃণমূলকে স্বস্তি দিয়ে উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন কমিশনকে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*