রোজদিন ডেস্ক :- রাজ্যে চার দফা নির্বাচন হয়ে গেছে। বাকি রয়েছে তিন দফার নির্বাচন।২০২৪ এর লোকসভায় বাংলা যেন মাছের চোখ হয়ে উঠেছে।আজ বনগাঁয় শান্তনু ঠাকুরের হয়ে ভোট প্রচারে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ্ । এই সভায় এসে তিনি বলেন চার দফা ভোটের পর বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে গেছে, কত আসন পেয়েছে সেটাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
তিনি দাবি করেছেন, ”এ পর্যন্ত ৩৮০টি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৭০ আসনে জয়ী মোদী। বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।” এই প্রেক্ষিতেই বাংলার মানুষকে ফের একবার ৩০ আসন দেওয়ার আর্জি করেছেন অমিত শাহ। বনগাঁর সভামঞ্চ থেকে বলেন, ”ইভিএম গড়বড়ের অভিযোগ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময়ও এই ইভিএম ছিল। তখন তো ভালই ছিল সব। কিন্তু এখন জনতা আপনাকে তাড়ানোর জন্য যখন ভোট দিচ্ছে তখন আপনি ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করছেন।”
আজ আরো একটি সভা করেন অমিত শাহ্। হাওড়ার আমতার উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অরুণোদয় পাল চৌধুরীর সমর্থনে একটি জনসভা করেন।
অমিত শাহের দাবি, “বাংলায় ইমামদের ভাতা দেওয়া হলেও মন্দিরের পুরোহিতদের ভাতা দেয় না মমতা দিদির সরকার।” এরপরই অমিত বলে বসেন, “দুর্গাপুজোয় মমতাদিদি ছুটি দেয় না, রমজানে ছুটি দেয়!”
শাহও বলতে শুরু করেছেন, ” এটাই তৃণমূলের সরকার। এরা রোহিঙ্গা আর বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে চায়। কারণ, ওরাই তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। তাই মমতাদিদি সিএএ-র বিরোধিতা করছেন।”
স্বভাবতই, ভোটের মাঝে শাহের মতো কেন্দ্রীয় নেতৃত্বর কাছ থেকে এমন ফুলটস বল পেয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। শাহকে আক্রমণ করে তাচ্ছিল্যের সুরে কুণাল ঘোষ বলেন, “সন্দেশখালির স্টিং ভিডিওয় আসল সত্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বাংলার বিজেপি নেতারা কী করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। এমন অবস্থায় উনি যদি পড়াশোনা না করে এসে হাস্যকর কথা বলে যান, তাতে তো বিজেপির বিড়ম্বনা আরও বাড়বেই!”
Be the first to comment