মঙ্গলবার মধ্যরাতে লোকসভায় পাশ হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯। এই বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবারও অসমের বিভিন্ন এলাকায় বনধ চলছে। জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চলছে। বন্ধ দোকানপাট। রাস্তায় নেমে পিকেটিং করছে বনধ সমর্থকরা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে সোমবার থেকেই অসমের বিভিন্ন এলাকায় বনধ শুরু হয়েছে। আজ ডিব্রুগড়ে পথে নেমেছে অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। গুয়াহাটিতে আজ ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক দিয়েছে নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস অরগানাইজেশন (NSEO) ও অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (AASU)। সেখানে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। অন্যদিকে SFI, DYFI, AIDWA, AISF, AISA সহ একাধিক বাম সংগঠন আজ ১২ ঘণ্টা অসম বনধের ডাক দিয়েছে। ডিব্রুগড় ও গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। বনধের জেরে উত্তর অসম দেশের বাকি অংশের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন। ৩৭ ও ৫২ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ একাধিক রাস্তায় বন্ধ যান চলাচল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে গতকাল অসমের গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা ৷ রক্ত দিয়ে পোস্টার লেখে তারা ৷ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বিলের সমর্থন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা ৷ সোমবার ধেমাজিতে ১২ ঘণ্টা অসম বনধের ডাক দেয় অল অসম সুটিয়া স্টুডেন্ট ইউনিয়ন। পাশাপাশি অসমের শিবসাগরে বনধের ডাক দিয়েছিল অসম যুব মঞ্চ, অল অসম কোচ রাজবংশী স্টুডেন্ট ইউনিয়ন KMSS ও বীর লচিত সেনা।
বিলের প্রতিবাদে অসমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামেশ্বর তেলি ও রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী ফণিভূষণ চৌধুরি সহ স্থানীয় বিজেপি নেতাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অসম গণ পরিষদের (AGP) প্রেসিডেন্ট ও অসমের কৃষিমন্ত্রী অতুল বোরার গোলাঘাটের বাড়ি ঘেরাও করে শতাধিক বিক্ষোভকারী। তাদের দাবি, ক্ষমতার লোভে রং বদলেছে AGP-এর নেতারা। এখন তারা বিজেপির পক্ষ নিয়েছে এবং অসমের মানুষের বিরুদ্ধে গিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করছে।
বনধ ও বিক্ষোভের আংশিক প্রভাব পড়েছে অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরাতে। নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। হর্নবিল ফেস্টিভেল চলছে নাগাল্যান্ডে। আপাতত বনধের প্রভাব নেই সেখানে। উল্লেখ্য, NSEO-এর ডাকা বনধে সমর্থন জানিয়েছে অল অরুণাচল প্রদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, খাসি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও নাগা স্টুডেন্টস ফেডারেশন সহ একাধিক ছাত্র সংগঠন।
Be the first to comment