উষ্ণতার পারদ যা-ই বলুক না কেন, শীত কিন্তু এসে গেছে! বছর শেষের আমেজে মাতোয়ারা সকলেই। হইচই-নাচগান-পার্টি আর বনভোজনে মেতে ওঠার সময় এসে পড়েছে। সবার জন্য রইল একগুচ্ছ পিকনিক স্পটের হদিশ।
টাকি (উত্তর ২৪ পরগনা)
কলকাতা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে ইছামতী নদীর তীরে অবস্থিত টাকি। পরিবার কিম্বা বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকের আদর্শ জায়গা। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে হাসনাবাদ লোকালে টাকি স্টেশনে নেমে ওখান থেকে ভ্যানেই পৌঁছে যেতে পারবেন পিকনিক স্পটে। আবার গাড়িতেও যাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে বারাসত থেকে টাকি রোড ধরে সোজা চলে যেতে হয়। এ ছাড়া ধর্মতলা থেকে সরকারি বাস ছাড়ে। পিকনিকের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন টাকি পুরসভায় (০৩২১৭-২৩৩৩২৮)। নদীর ধারে স্পট বুকিং করতে মাত্র ২৫০ টাকা লাগে। পিকনিকের পাশাপাশি ঘুরে দেখতে পারেন টাকি রাজবাড়ি আর মাছরাঙা দ্বীপ।
ইছামতী পার্ক (উত্তর ২৪ পরগনা)
টাকি স্টেশনের অদূরেই রয়েছে আরও একটি পিকনিক স্পট। শুধুমাত্র পিকনিকের জন্য গাছপালা আর জলাশয় ঘেরা এই পার্কটি তৈরি হয়েছে টাকি পুরসভার উদ্যোগে। পরিবার নিয়ে বনভোজনের ইচ্ছে থাকলে আদর্শ এই পার্ক। এ ছাড়াও এখানে বাচ্চাদের জন্য রয়েছে মজাদার খেলার ব্যবস্থা। তবে পিকনিকের উদ্দেশ্য থাকলে আগে থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে স্পট বুকিং করে নেওয়াটাই ভাল।
মেঠো গাঁ (উত্তর ২৪ পরগনা)
নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ মাঠ, মাটির রাস্তা, পুকুর। কলকাতার অদূরে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরেই মেঠো গাঁ। মধ্যমগ্রাম থেকে বেশ খানিকটা এগোলেই হাজির হওয়া যায় এই গ্রামে। তবে পিকনিক স্পট হিসাবে জায়গাটি এখনও তেমন জনপ্রিয় হয়নি। দু’দিকে সবুজ খেত চোখের শান্তির সঙ্গে পেটের খিদেও মেটাবে। খেতের টাটকা সব্জি দিয়েই হতে পারে আপনার সে দিনের দুপুরের রান্না।
চান্দুর (হুগলি)
বন ছাড়া কি আর বনভোজন জমে? কাজেই জল-জঙ্গল-আর কষা মাংস পিকনিকের অন্যতম অঙ্গ। হুগলির শেষ প্রান্তে আরামবাগ থেকে চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চান্দুর। শাল–সেগুন-সোনাঝুরির জঙ্গলের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে দ্বারকেশ্বর নদী। চান্দুরের এই জঙ্গলেই মিলবে পিকনিকের মজা। পাখির কলকাকলির সঙ্গে জমবে জমাটি আড্ডা। হাওড়া থেকে আরামবাগ লোকালে আরামবাগ পৌঁছে রিকশায় পৌঁছনো যায় চান্দুরে। বর্ধমান–আরামবাগ ভায়া সেহরাবাগের রাস্তায় এই পর্যটন কেন্দ্রের অবস্থান। থাকার জন্য রয়েছে বনবিভাগের দু’টি কটেজ। বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ: ০৩২১১- ২৫৮০২৬৮১
ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক ( হুগলি )
হাওড়া থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরে চন্দননগরে ১৩৫ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্ক। অন্য নাম এমডিএ পার্ক। সবুজের বিস্তারের মাঝে রয়েছে রংবেরঙের বাহারি ফুল। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রজাপতি। বিনোদনের ব্যবস্থাটিও খাসা। আছে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও। এখানে বনভোজনের জন্য রয়েছে অনেকগুলি স্পট । পার্কের ভিতরে একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।রান্না করতে না চাইলে আগেভাগে এখানে খাবার অর্ডার দিতে পারেন। রয়েছে বিশ্রামগৃহ। হাওড়া থেকে ট্রেনে চন্দননগর নেমে টোটো কিম্বা অটোতে ১৫ মিনিটেই পৌঁছে যাবেন ওয়ান্ডারল্যান্ডে। যোগাযোগ করুন: ০৩৩-২৬৮২০০০৬।
Be the first to comment